ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে মানবিক সমাজ বিনির্মাণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর’২৪) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের বড়খামার ইউসি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা একটি সমন্বিত শিক্ষাব্যবস্থা হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এটি ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার বিষয়েও শিক্ষার্থীদের সমৃদ্ধ করে, যা তাদের নৈতিকতা, ধর্মীয় জ্ঞান এবং আধুনিক জ্ঞান বিকাশে সহায়তা করে। আলিয়া মাদ্রাসার ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহু পুরনো এবং এটি বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
বক্তারা বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক মান তৈরি করে এবং আধুনিক শিক্ষার মাধ্যমে নিজেদের পেশাগত ও সামাজিক দক্ষতা উন্নত করতে সক্ষম হয়। মাদ্রাসা শিক্ষার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করা এবং তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা। মাদ্রাসায় কুরআন, হাদিস, ফিকহ এবং অন্যান্য ইসলামিক শাস্ত্রের ওপর গভীর শিক্ষা প্রদান করা হয়। এই ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সঠিক নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ গড়ে তোলে, যা তাদের জীবনে সৎ, ন্যায়পরায়ণ এবং মানবিক গুণাবলি বিকাশে সহায়তা করে। সমাজে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের যুগে এই ধরনের শিক্ষার গুরুত্ব আরও বেশি অনুভূত হয়। কারণ এটি কেবলমাত্র ধর্মীয় জ্ঞান নয়, বরং সমাজে একজন সৎ এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার পাথেয় সরবরাহ করে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা শুধু ধর্মীয় জ্ঞানে নয়, আধুনিক যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারে। এই সমন্বিত শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ব্যতিক্রমী সুযোগ তৈরি করে, যেখানে তারা একদিকে ধর্মীয় আদর্শে দীক্ষিত হয় এবং অন্যদিকে আধুনিক শিক্ষার মাধ্যমে পেশাগত ও বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হয়। ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে একজন শিক্ষার্থী শুধু পেশাগত জীবনে সফল হয় না, বরং সে সমাজের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো দক্ষতা অর্জন করতে পারে। এই ধরনের নেতৃত্ব সমাজে ধর্মীয় ও নৈতিক দিকনির্দেশনা প্রদান করে, যা সমাজের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
বড়খামার ইউসি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবু ছালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স ম শহিদুল ইসলাম, জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুস সবুর, ইউপি মেম্বর মোঃ লুৎফর রহমান শেখ, সাংবাদিক ও শিক্ষক এসএম শহীদুল ইসলাম, সমাজসেবক আলহাজ্ব আব্দুল জব্বার, মোঃ আব্দুল গফ্ফার, ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর গার্লস হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক মোঃ হাফিজুল ইসলাম, মাদ্রাসার সভাপতি বাবর আলী, শিক্ষক মাওলানা মোঃ আব্দুস সাত্তার, হাফেজ মাওলানা আসাফুর রহমান, শিক্ষক সামশুর রহমান সোনা, মোঃ বেলাল হোসেন, গ্রাম ডাক্তার মোহাম্মদ আব্দুল খালেক, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ কামরুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার শতাধিক অভিভাবক।