“নারী-কন্যার সুরক্ষা করি, সহিংসতা মুক্ত বিশ্ব গড়ি’” স্লোগানে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও মানবাধিকার পক্ষ উপলক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর’২৪) সাতক্ষীরা জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে ১৫ সংগঠনের শতাধিক নারী পুরুষের সমন্বয়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।
মানববন্ধনে জেলা মহিলা অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যান ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পূলক চক্রবর্তী, স্বদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মাধব দত্ত, সিডো’র পরিচালক শ্যামল বিশ্বাস, ওয়ান স্টপ সার্ভিসের আব্দুল হাই সিদ্দীকি, হেড এর নির্বাহী পরিচালক, লুইস রানা গাইন, চুপড়িয়া মহিলা সংস্থার মরিয়ম মান্নান, দীপা ঘোষ, জয়া বৈদ্য, যুব কর্মী শ্রেয়া, উর্মী, লিজা, ইডা’র নির্বাহী পরিচালক আকতার হোসেন, গৌতম সরকার প্রমুখ।
মানববন্ধনে মানবাধিকার সংগঠন স্বদেশ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, সুয্যমুখি, দিশা, সিডো, হেড, রিশিল্পী, সম্প্রীতি এইড ফাউন্ডেশন, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স, দুর্বার নেটওয়ার্ক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ক্রীশ্চান এইড, বারসিক, প্রথমআলো বন্ধু সভা, কারিতাস, আরা, আশালোককেন্দ্র, সৃজনী, এইচআরডিএফ, সিএসও এইচআরডি কোয়ালিশন, আরাসংস্থা।
বক্তারা নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ সহ জনসচেতনতার প্রতি জোর দিয়ে বলেন, সাতক্ষীরা জেলাতে বাল্য বিবাহ আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে যা বন্ধ করতে প্রশাসনের পাশাপাশি বেসরকারী সংস্থাগুলির কার্যকর ভুমিকা প্রয়োজন।
মানববন্ধনে যে সকল দাবিনামা পেশ করা হয়: নারীর উপর সকল প্রকার হয়রানি, নির্যাতন ও সহিংসতা প্রতিরোধ এবং প্রতিকারে সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নিন; নারীর উপর যেকোনো ধরনের সহিংসতা সংঘটনকারী ব্যক্তি ও তার আশ্রয়–প্রশ্রয় দানকারীর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিন, নারী নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখীন করুন; নারী নির্যাতনের কোন ঘটনা ঘটতে দেখলে বা শুনলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনকে জানান এবং জন- প্রতিরোধ গড়ে তুলুন; সংবাদ মাধ্যম গুলো নারীর প্রতি অধিকতর সংবেদনশীল থেকে নিরপেক্ষ ও সত্য সংবাদ প্রকাশ করুন;
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীগন ঘটনার শিকার নারীকে হেয় ও প্রতিপন্ন না করে ঘটনা সংঘটনকারীকে চিহ্নিত করে আইনের হাতে তুলে দিতে সহায়তা করুন। ঘটনার ছবি বা ভিডিওচিত্র প্রকাশ ও প্রচারে দায়িত্বশীল হোন, যাতে ঐ নারী ও তার পরিবারকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে না হয়।