সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) পণ্যটির আমদানি বেড়েছে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় অন্তত প্রায় ৮৯ শতাংশ।
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) পণ্যটির আমদানি বেড়েছে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় অন্তত প্রায় ৮৯ শতাংশ। রবিবার (১৭ নভেম্বর ‘২৪) ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশন থেকে জানা যায়, জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি করা হয়েছে ৬৬৬ টন, যার আমদানি মূল্য ছিল ২৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময় ১২ কোটি ২৩ লাখ টাকা মূল্যের ৩৫৩ টন জিরা আমদানি হয়েছিল। এ হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে পণ্যটির আমদানি বেড়েছে ৩১৩ টন।
ভোমরা বন্দরের মসলাজাত পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, দেশের বাজারে বাড়তি চাহিদা থাকায় সম্প্রতি জিরা আমদানি বেড়েছে। জিরাসহ অন্যান্য মসলা তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকেন।
এদিকে আমদানি বাড়লেও সাতক্ষীরায় স্থিতিশীল রয়েছে জিরার বাজারদর। রবিবার এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এমন তথ্য জানিয়েছেন।
সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজারের মসলা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স রউফ স্টোরে গতকাল ভারত থেকে আমদানীকৃত প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হয়েছে ৭৪০-৭৫০ টাকায়। এ সময় তুরস্ক থেকে আমদানীকৃত প্রতি কেজি জিরার দাম ছিল ৯০০ টাকা। এছাড়া গতকাল সিরিয়া থেকে আমদানীকৃত জিরা ৯৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
এ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আব্দুর রউফ বলেন, ‘জিরার দাম গত দুই থেকে আড়াই মাস স্থিতিশীল রয়েছে। আমদানি খরচ তুলনামূলক বেশি থাকায় দাম এখনো কমছে না।’
সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এসএম আব্দুল্লাহ জানান, জিরা আমদানিনির্ভর একটি পণ্য। আমদানি খরচ বেশি থাকায় জিরার বাজারদর স্থিতিশীল রয়েছে।