ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র্যালী পরবর্তী সমাবেশে সাবেক ডাকসু নেতা ও সাতক্ষীরা-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মহিউদ্দীন সিদ্দিকী বলেছেন, বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে দখলবাজী, চাঁদাবাজী করা চলবে না। যদি কেউ দখলবাজী, চাঁদাবাজীতে লিপ্ত হয় তার দায় দল নেবে না। যারা বিগত দিনে আওয়ামী লীগের সুবিধা নিয়ে এখন বিএনপি সাজার চেষ্টা করছেন তাদের দলে কোন সুযোগ নেই। এমনকি দলের মধ্যে কেউ ঘাপটি মেরে বসে থেকে কোন ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান অন্তবর্তী সরকার দেশে সংস্কার কাজ শুরু করেছে। আমাদের উচিত হবে সরকারকে সহযোগীতা করা। ইতোমধ্যে সরকারকে বিপদে ফেলতে আওয়ামী লীগের দোষররা বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আপনারা দেখেছেন শেখ হাসিনার সময় দিনের ভোট রাতে হয়েছিল। ইভিএম নামের দানব মেশিনে জনগনের ভোট চুরি করে অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছিল। কিন্তু সেই দিন আর ফিরে আসবে না। আগামী দিনে জনগনের ভোটে নির্বাচিত প্রার্থী দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসবে। এটা ভাববেন না স্বৈরাচার পালিয়েছে বিএনপি ক্ষমতায় এসে গেছে। এটা ভাবলে ভুল করবেন। ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে যান, মানুষের কাছে যেয়ে কথা বলেন। তাদের কাছে তারেক জিয়ার বার্তা পৌঁছে দিন। বিগত দিনে আমরা অনেক নির্যাতনে শিকার হয়েছি। কিন্তু আমরা এই দিন বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে আসুক তা চাই না। সেজন্য সবাইকে মাঠে নেমে কাজ করতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর’২৪) সাতক্ষীরার দেওহাটার সখিপুর মোড়ে ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র্যালী পরবর্তী সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সখিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোখলেছুর রহমান মোখলেস’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক ডাকসু নেতা ও উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব এবং সাতক্ষীরা-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মহিউদ্দীন সিদ্দিকী।
বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন, মোখলেছুর রহমান মুকুল, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
সভায় সখিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন বকুলের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক প্রভাষক কামাল হোসেন, হাবিবুর রহমান মাসুম, হাসান সরাফী, আলতাফ হোসেন, সুমন পারভেজ, অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবীর বাবু, গোলাম মোস্তফা, রিয়াজুল ইসলাম মোল্যা, হাজী কেয়ামদ্দীন মেমোরিয়াল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম, দেবহাটা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হাফিজুল ইসলাম, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম, প্রভাষক মির্জা মহসিন, রাজিব ইসলাম রাজু, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কামরুজ্জামান কামরুল, সদস্য সচিব মেহেদি হাসান সবুজ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম বাবু, উপজেলা তাঁতি দলের আহবায়ক হিরন মন্ডল, সদস্য সচিব আবির হোসেন লিয়ন, শ্রমিকদলের সভাপতি বিকাশ সরকার, সাধারণ সম্পাদক আছাদুল ইসলাম, উপজেলা কৃষকদলের দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্র দলের সদস্য সচিব ফিরোজ হোসেন তুহিন, কেবিএ কলেজ ছাত্র দলের সদস্য সচিব শিমুল হোসেন, জেলা তরুন দলের সাধারণ সম্পাদক তাসকিন আহম্মেদ শাওন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা।
শুরুতে মহিউদ্দীন সিদ্দিকীর নেতৃত্বে শতশত নেতা কর্মীর অংশগ্রহনে সখিপুর বাজার থেকে একটি র্যালী বের করে সখিপুর মোড়ে সমাবেশে সমবেতন হন।