ঢাকার গাজীপুরে একটি ভাড়া বাসায় জবাই করে হত্যা করা সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল হোসেনের (২৩) লাশ বৃহষ্পতিবার (০৭ অক্টোবর ‘২৪) সকাল ১০টায় তার নানার বাড়ি চাঁদপুরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
নিহত রাসেলের বাবার নাম মৃত রবিউল ইসলাম।
নিহত রাসেলের চাচাতো ভাই আব্দুর রহমান জানান, ২০০৮ সালে বাবা রবিউল ইসলাম মারা যাওয়ার বছর না ঘুরতেই ছেলে রাসেল হোসেনকে বাপের বাড়ি চাঁদপুরে রেখে একই উপজেলার নোড়ারচক গ্রামের আবু বক্করের সাথে বিয়ে করেন তার মা রহিমা খাতুন লিলি। কখনও চাচাদের কাছে আবার কখনো মামাদের কাছে থাকতো রাসেল। সর্বশেষ সখীপুর কেডি আহছানউল্লাহ সরকারি কলেজে লেখাপড়া করতো। সর্বপরি দেড় মাস আগে সে ঢাকার গাজীপুরের মাধবপুর (উত্তরপাড়া) রেজাউল করিমের মালিকানাধীন একটি চারতলার ভাড়া বাসায় থাকতো। একইসাথে ভোলা জেলা সদরের চরভাদুরা গ্রামের জাফর আলীর ছেলে সুফিয়ান (২৪) তার সাথে থাকতো। তারা দুজনেই একটি কারখানার গুদামে প্যাকেজিং এর কাজ করতো। ৫ নভেম্বর তারা দুজনে কাজে না আসায় নিরাপত্তা কর্মী বিষয়টি শিমুলককে জানান। একপর্যায়ে রাত ১১টার দিকে তাদের ঘরে যেয়ে গলাকাটা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়। একপর্যায়ে ৬ নভেম্বর গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের লাশের ময়না তদন্ত করা হয়। বৃহষ্পতিবার সকাল সাতটায় রাসেলের লাশ তার নানার বাড়িতে দেবহাটার চাঁদপুরে আনা হয়। সকাল ১০ টায় চাঁদপুর ঈদগাহ ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় পুলিশ কারো নাম উল্লেখ না করে বুধবার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। হত্যার ক্লু উদঘাটন ও হত্যাকারির সন্ধানে পুলিশ অভিযান অব্যহত রেখেছে।