বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দোয়া মাহফিল ও দুঃস্থ অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা ড. মনিরুজ্জামান মনিরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং উপজেলা বিএনপিসহ তার অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে সোমবার (০৪ অক্টোবর ‘২৪) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা সদরের বাবলাতলা মোড়স্থ কৃষকদল কার্যালয়ে উক্ত দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দেয়া মাহফিল থেকে বর্ষীয়ান নেতা ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে সেখান থেকে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জি.এম লিয়াকাত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ লিয়াকাত আলী বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আলমগীর, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুর সরদার, সাধারণ সম্পাদক আমির আলী, কৈখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের মল্লিক, যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম দুলু, কৃষকদলের সাবেক সদস্য সচিব ইয়াছিন আরাফাত, শ্রমিক দলের সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম, কৃষক দলের আহবায়ক মোঃ নুরুজ্জামান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক পাভেল মিজান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল গফফার মিঠু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।
বিএনপি নেতারা এসময় বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম রাজনৈতিক নেতা ছিলেন প্রবীন রাজনীতিবিদ তরিকুল ইসলাম। তিনি এই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। তিনি সবসময় এ অঞ্চলের মাটি ও মানুষকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন ও স্বপ্ন দেখাতেন।
প্রসঙ্গত, তরিকুল ইসলাম ১৯৪৬ সালের ১৬ নভেম্বর যশোর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের প্রার্থী হিসেবে যশোর এমএম কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৩ সালে সর্বক্ষেত্রে রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। ১৯৭০ সালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগদান করেন তিনি। সেখানে থেকে প্রথমে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল ও পরে জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন তিনি। বিএনপির প্রথম আহ্বায়ক কমিটির ৭৬ সদস্যের অন্যতম ছিলেন তিনি। দলের যুগ্ম মহাসচিব, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, ভাইস চেয়ারম্যান ও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়াও ১৯৯১ সাল থেকে বিএনপি সরকার গঠন করলে পর্যায়ক্রমে সমাজকল্যাণ ও মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, খাদ্য, তথ্য, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।