সুপেয় পানির সংকট ও পানি সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যার প্রেক্ষিতে ভৌগলিক ভাবে ভিন্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে স্থানীয় নেতৃত্বাধীন পানি অভিযোজন কৌশল পরিকল্পনা তৈরি করার লক্ষ্যে সোমবার (০৪ নভেম্বর’২৪) সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় কর্মশালা আয়োজন করেছে সোসাইটি অফ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এডুকেশন ফর স্মল হাউসহোল্ডস (SoDESH) এবং পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক (প্রান)।
অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের সহযোগিতায়, উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার হিসাবে বিশুদ্ধ পানির দাবিতে ওয়াটারমুভ ক্যাম্পেইন বা পানি অধিকার প্রচারাভিযানের সূচনা করেছে পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক (প্রান), যার লক্ষ্য বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের সুপেয় পানির অধিকারের জন্য কাজ করা এবং সবুজ রূপান্তরে তরূনদের উৎসাহিত করে এই প্রচারনায় সম্পৃক্ত করা। এই প্রচারাভিযানের অন্যতম লক্ষ্য হল উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য পানির অধিকারের দাবিতে বিভিন্ন অংশীদার ও জনপদের জোটকে একত্রিত করা, যাতে উপকূলীয় অঞ্চলে এবং বাংলাদেশের অন্যান্য অংশে বসবাসকারী প্রতিটি ব্যক্তির নিরাপদ পানির এই মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভভ হয়। ওয়াটারমুভ ক্যাম্পেইন চলাকালীন, প্রান এবং এর অংশীদার সংস্থাসমূহ বাংলাদেশের উপকূলে অবস্থিত বিভিন্ন জেলাতে স্থানীয়-নেতৃত্বাধীন পানি অভিযোজন কৌশল পরিকল্পনার খসড়া তৈরিতে কর্মশালা আয়োজন করবে। অঞ্চল ভিত্তিক প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে এই পরিকল্পনাটি এলাকা-নির্দিষ্ট সঙ্কট পরিস্থিতিকে নথিভুক্ত করবে, সংকট নিরসনে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা, ঐতিহ্যগত জ্ঞান ও আধুনিক বিজ্ঞানের সম্মিলনে কৌশল খুজে বের করবে এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে আরোও কার্যকর সমাধানের কৌশল সমূহ প্রস্তাব করবে।
সাতক্ষীরার পাবলিক লাইব্রেরি সভাকক্ষে স্থানীয় নেতৃত্বাধীন পানি অভিযোজন কৌশল পরিকল্পনার দ্বিতীয় কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আঃ হামিদ, জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ, প্রান সায়ের খাল সুরক্ষা কমিটির সদস্য সচিব শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, প্রানের প্রতিনিধি জাহিদ ইমরান, একশনএইড প্রতিনিধি ওবায়দুল্লাহ, পবিত্র মোহন দাশ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আগত অংশগ্রহন কারীরা কর্মশালায় স্থানীয় পর্যায়ে পানির সংকট সমাধানে ঐতিহ্য গত ও প্রচলত পন্থার সাথে আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক উপায় ব্যবহার করে সুপেয় ও নিরাপদ পানি সংকটের সমাধানে কি ধরনের কৌশল গ্রহন করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং প্রস্তাবনা আকারে দলীয় কাজের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন যা জাতীয় পানি নীতিমালার আলোকে উপকুলের মানুষের সুপেয় এবং ব্যাবহারিক পানি নিশ্চিতে সরকারী নীতিমালাকে প্রভাবিত করবে এবং একটি উপকুলীয় পানি নীতিমালা হিসাবে গৃহীত হবে।