চট্টগ্রামের লাল দীঘিতে ৮ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে সনাতনীদের সমাবেশ দেখে হতকচিত হয়ে বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোটের কেন্দ্রীয় নেতা চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারিরসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার প্রতিবাদ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোটের সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক মাষ্টার জয়দেব কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন শ্যামনগরের গোপালপুর রাধাগোবিন্দ মন্দিরের অধ্যক্ষ কৃষ্ণসখা দাস ব্রহ্মচারি, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠণিক সম্পাদক মনোদ্বীপ মণ্ডল, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের কালিগঞ্জ শাখার সভাপতি ডাঃ পতিরাম মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সরদার, পবিত্র কুমার মণ্ডল, প্রকাশ চন্দ্র হালদার, দেবব্রত সরকার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে যে সমস্ত রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন তাদের নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়েছে। বর্তমানেও এ অত্যাচার অব্যহত রয়েছে। এর ফলে হিন্দুরা নিরাপত্তার অভাবে দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। তাই বাংলাদেশ সম্মিলত সংখ্যালঘু জোট সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষায় আট দফা দাবি জানিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকাসহ চট্টগ্রামের লাল দীঘিতে জনসমাবেশ করে আসছে তারা। এ সময় সমাবেশে প্রতিবাদি কণ্ঠস্বর হিসেবে চিন্ময় দাস প্রভু দেশ বিদেশের নির্যাতিত হিন্দুদের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে স্বক্ষম হয়েছেন। এটা ভাল চোখে নিচ্ছে না এ দেশের একটি মৌলবাদি গোষ্ঠী। একারণে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানের সমাবেশকে ঘিরে চিন্ময় প্রভুসহ ২০ জন সংখ্যালঘু নেতার বিরুদ্ধে থানায় রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া হবে না। অবিলম্বে ওই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।