সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশন (রেজিঃ নং-২১২৯/১৪) এর ত্রি-বার্ষিকী নির্বাচনে পরিতোষ কুমার ঘোষ সভাপতি ও নাজমুল আলম মিলন সাধারণ সম্পাদক, মুহাম্মদ হাদিউজ্জামান বাদশাহ সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পুনরায় ৪র্থ বারের মত বিজয়ী হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর’২৪) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। কমিশনার সূত্রে জানা যায়, ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে ১১২৮জন ভোটারের মধ্যে ১০১৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। উৎসাহ উদ্দীনপনার মধ্য দিয়ে চলে এ ভোট কার্যক্রম। নির্বাচনের দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তাদের কঠোর অবস্থানে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়। দিনভর ভোটাররা নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেন। সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, গ্রাম পুলিশ নিয়োজিত ছিল। পুরো এলাকা পোস্টার, ব্যানারে ভরপুর থাকায় বন্দর জুড়ে উৎসবের আমেজ লক্ষ করা যায়।
এতে সভাপতি পদে পরিতোষ কুমার ঘোষ ৫১৩ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ৪৭৭ ভোট পান। সাধারণ সম্পাদক পদে নাজমুল আলম মিলন ৫৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আসাদুল ইসলাম ৪৪৮ ভোট পেয়েছেন। সিনিয়র সভাপতি পদে মাসুদ রানা ৫১৬, সহ-সভাপতি পদে ছদরুল আলম ৪৯১ ভোট ও সাইফুল ইসলাম ৫১৭ ভোট, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মুহাম্মদ হাদিউজ্জামান বাদশাহ ৮৮৫ ভোট, দপ্তর সম্পাদক পদে হাফিজুল ইসলাম ৫২২ ভোট, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে আব্দুর রশিদ ৪৩২ ভোট, আজহার মাহমুদ ৫২১ ভোট এবং শামিম হোসেন ৫৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। মোট ১৭ পদের বিপরিতে ভোট গ্রহন হয় ১০ পদে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। যার মধ্যে পরিতোষ-মিলন প্যানেল মধ্যে ৭টি এবং দেলোয়ার-আসাদুল প্যানেল থেকে ৩টি পদে জয়ী হয়েছেন।
তবে এর আগে পরিতোষ-মিলন প্যানেল ৭টি পদে বিনাপ্রতিদ্ব›দ্বীতায় জয়ী হয়েছেন। জয়ীরা হলেন সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মিজানুর রহমান, অর্থ সম্পাদক পদে নাসির উদ্দীন, ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মেহেদী হাসান, কাস্টমস্ সম্পাদক পদে মনিরুল ইসলাম, বর্ডার সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আতিকুর, বন্দর বিষয়ক সম্পাদক পদে আরিফুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক পদে সোহেল রানা সাগর।
তবে প্রার্থীদের মধ্যে সহ-সভাপতি পদে ইয়াসিন আলী ৪৬৩ ভোট ও আব্দুস সেলিম ৩৮৮ ভোট, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এসএম নাসির উদ্দিন ১০১ ভোট, দপ্তর সম্পাদক পদে ইলিয়াস কবির ৪৩৩ ভোট, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে আব্দুস সাত্তার ৩৯৯ ভোট, কবিরুল ইসলাম ৩৫৪ ভোট পেয়েছেন, ইমরান হোসেন ৩৭৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। এর মধ্য দিয়ে অবসান হয় দীর্ঘ দিনের প্রতিক্ষা।