বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স আয়োজিত ‘উপকূলীয় সংকট নিরসনে করণীয় বিষয়ক কর্মশালার’ শুভ উদ্ভোধন ঘোষণা করা হয়।
খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, পরিবেশবিদ, উন্নয়ন সংস্থা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর ‘২৪) এ কর্মশালা উপকূলের সমস্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি, এবং টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবে। কর্মশালাটি আয়োজিত হয়েছে উপকূলবর্তী মানুষের জীবনযাত্রা রক্ষা ও পরিবেশ সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্দেশ্য।
খুলনা সিএসএস আভা সেন্টারে আয়োজিত এ কর্মশালায় সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মুকুল, কালের কন্ঠের সিনিয়র সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, উত্তরণের টেকনিক্যাল অফিসার শেখ সেলিম আক্তার স্বপন, কুয়েটের সহযোগী অধ্যাপক আনজুম তাসনুভা, আরবান এন্ড রিজিওনাল প্লানিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডঃ তুষার কান্তি রায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোল্যা শফিকুর রহমান , রূপান্তরের তথ্য অফিসার শেখ আব্দুল হালিম প্রমুখ।
এসময় যশোর থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন কমিটির আইন বিষয়ক সদস্য অনিল বিশ্বাস, ভুক্তভুগী শিলা রানী মল্লিক, মোংলা থেকে পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের মো. নূর আলম শেখ, নদীকর্মী হাছিব সরদার, শ্যামনগর থেকে রণজিৎ কুমার বর্মন, মানবেন্দ্র দেবনাথ, সাতক্ষীরা থেকে অধ্যক্ষ আশেক-ই-ইলাহী সহ আরো অনেকে।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন শুধু ড্রেজিং করে নয়, নদী বাঁচাতে হলে অবশ্যই টিআরএম প্রক্রিয়া চলমান রাখতে হবে। বিশেষ করে নদীর পলি এবং বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী আমাদের পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, নদীর মাধ্যমে উপকূল বাঁচানো না গেলে উপকূলের সাথে সংযুক্ত জেলা, বিভাগীয় শহরগুলোতেও নানা ভোগান্তি পোহাতে হবে। তাই নদী রক্ষা ও উপকূলীয় বোর্ড গঠন করা খুবই জরুরি।
উক্ত কর্মশালায় উপকূলীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার গুরুত্ব নিয়েও এ কর্মশালায় আলোকপাত করা হবে।
কর্মশালার শেষ দিনে একটি প্রস্তাবনা ও কার্যকর পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে, যা ভবিষ্যতে উপকূলীয় অঞ্চলের স্থায়ী সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।