গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১৭ নং গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাশিয়ানী উপজেলার ৫১ নং দক্ষিণ ফুকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন বিদ্যালয় দুটিতে গিয়ে অভিযোগ সম্পর্কে প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।
১৭ নং গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিগত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে স্লিপ অনুদানের ৭০ হাজার টাকা এবং প্রাক প্রাথমিকের জন্য ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় বলে জানান প্রধান শিক্ষক সুলতানা বেগম। তবে তিনি সরকারি বরাদ্দের এ অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করেননি। তার কাছে খরচের খাত এবং বিল ভাউচার দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে অস্বীকার করেন।
এদিকে জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ৫১ নং দক্ষিণ ফুকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। বিগত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ওই বিদ্যালয়ে ২২০ জন শিক্ষার্থী দেখিয়ে স্লিপ অনুদান খাতে ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ নেওয়া হলেও বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা পাওয়া গেছে ১৯০ জন। বিধি মোতাবেক দুইশতের বেশি শিক্ষার্থী হলে স্লিপ অনুদান খাতে ৭০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা নাঈম গত বছর শিক্ষার্থী বেশি দেখিয়ে অধিক অর্থ বরাদ্দ নিয়ে তা যথাযথভাবে ব্যয় করেননি। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সত্য প্রমান যাতে না হয় সেজন্যে তিনি কোনো ডকুমেন্টস প্রদর্শন করতে অনীহা প্রকাশ করেন। প্রকৃত পক্ষে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা কম তা প্রকাশ হওয়ায় প্রধান শিক্ষক এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন।