ভারতের পুরোহিত রামগিরি মহারাজ ও মহারাষ্ট্রের বিজিপির সাংসদ নিতেশ নারায়ন রানে কর্তৃক রাসুল (সাঃ) এর অবমাননা ও বায়তুল মোকাররম মসজিদের সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম, গোপালগঞ্জ জেলা শাখা।
আজ শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর’২৪) বাদ জুম্মা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া জামেয়া ইসলামিয়া আজিজিয়া শামসুল উলুম মাদ্রাসার সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। পরে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও চন্দ্রদিঘলিয়া জামেয়া ইসলামিয়া আজিজিয়া শামসুল উলুম মাদ্রাসার মোহতামীম হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ -এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুফতি ইমরান হুসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ওমর ফারুক, শিক্ষক ওলিয়ার রহমান, মাওলানা শাহ জালাল, মাওলানা ওসমান গনি, মাওলানা হুসাইন আহমাদ, মাওলানা কাজী সুলাইমান, মাওলানা শুআইব আহমাদ প্রমূখ।
হেফাজতে ইসলাম গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ বলেন, গত আগস্ট মাসে রাসূল (সাঃ) -এর নামে কটূক্তি করেন, ভারতের মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ, তাকে সমর্থনকারী বিজেপির সাংসদ নিতেশ নারায়ণ রানে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় অসংখ্য মামলা হলেও এখনো রাজ্য সরকার তাদেরকে গ্রেপ্তার না করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, রামগিরি মহারাজ রাসূল (সাঃ) -এর নামে জঘন্যতম কটুক্তিমূলক বক্তব্য দেন। এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মহারাষ্ট্রের মুসলিম জনতা। রামগিরির বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে ৫০ টিরও বেশি মামলা হয়। রামগিরির পক্ষে সমর্থন জানিয়ে একের পর এক মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য দিতে থাকেন মহারাষ্ট্রের বিজেপির হিন্দুত্ববাদী সাংসদ নিতেশ নারায়ন রানে।
অন্যান্য বক্তরা বলেন, ভারতের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ আমাদের প্রাণপ্রিয় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) -এর বিরুদ্ধে কটুক্তি করে বিশ্ব মুসলিমের কলিজায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) অবমাননাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সঠিক বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সদ্য অপসারিত খতিব মুফতি রুহুল আমিন জুম্মার নামাজ পড়ানোর চেষ্টা কালে মসজিদের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দেশ-বিদেশের সকল আলেম-ওলামা ও সাধারণ মুসলমানদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সাথে সাথে গোপালগঞ্জের হেফাজতে ইসলাম তার তীব্র সমালোচনা ও দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
পরে অনুষ্ঠানের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ পবিত্র দরুদ শরীফ পাঠ করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মধ্যদিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।