লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, সম্প্রতি সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির একজন বিজ্ঞ সদস্যা এড. হাসনাহেনা খান সাতক্ষীরা জজকোর্টের বিজ্ঞ পিপি হিসাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন মর্মে ‘লিফলেট’ প্রচার করে বেড়াচ্ছেন-যা অনভিপ্রেত, দুঃখ জনক এবং বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ । তার এই কার্যক্রম সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সকল আইনজীবীসহ বিচার অঙ্গনের প্রতি সর্বপরি বর্তমান সরকারের প্রতি একটি প্রহসন মূলক আচরন বলে আমরা মনে করি। বিশেষ করে, বর্তমান সরকারের কোন প্রকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপন ছাড়া এই ধরনের প্রচার কার্যক্রম সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্টের একটি অপচেষ্টা ছাড়া অন্য কিছু হতে পারে না।
৬ বছরের ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার দ্বারা সংগঠিত এক গনবিপ্লবের মাধ্যমে নোবেল লোরিয়েট প্রফেসর ড. মোহম্মদ ইউনূস এর নেতৃত্বে আমরা একটি অন্তবর্তী সরকার পেয়েছি।
অন্তবর্তীকালীন এই সরকারকে এদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল, সুশিল সমাজ, সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ইতিমধ্যে স্বাগত জানিয়ে সরকার পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
সদ্য ক্ষমতা গ্রহনকারী অন্তবর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কার এর মাধ্যমে একটি গনতান্ত্রিক সরকার গঠনের নিমিত্তে শক্তিশালী। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য ইতিমধ্যে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা ফিরিয়ে আনার জন্য ইতিমধ্যেই স্বচ্ছতার ভিত্তিতে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন। উল্লেখিত কার্যক্রমের অংশ হিসাবে বিচার বিভাগের মধ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সমগ্র বাংলাদেশের জেলা পর্যায়ে জি.পি, পি.পিসহ বিভিন্ন পদে যোগ্য ব্যক্তিদেরকে পদায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট আইন মন্ত্রনালয় আইনানুগ ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা বিশ্বাস করি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রালয় বাংলাদেশের সমগ্র জেলায় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জিপি, পিপি এবং তদসংক্রান্ত অন্যান্য পদে নিয়োগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন-যাহা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।
কিন্তু সরকারের এহেন কার্যক্রম চলমান থাকাকালে আমরা লক্ষ করছি যে, অত্র সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির একজন বিজ্ঞ সদস্যা এড. হাসনা হেনা খান সাতক্ষীরা জজকোর্টের বিজ্ঞ পিপি হিসাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয় কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন মর্মে ‘লিফলেট’ প্রচার করে বেড়াচ্ছেন-যা অনভিপ্রেত, দুঃখ জনক এবং বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বটে। তার এই কার্যক্রম সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সকল আইনজীবী সহ বিচার অঙ্গনের প্রতি সর্বপরি বর্তমান সরকার এর প্রতি একটি প্রহসন মূলক আচরন বলে আমরা মনে করি। বিশেষ করে, বর্তমান সরকারের কোন প্রকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপন ছাড়া এই ধরনের প্রচার কার্যক্রম সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্টের একটি অপচেষ্টা ছাড়া অন্য কিছু হতে পারে না।
ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও আপনারা সকলেই জানেন তাদের দোসররা এখনো বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। আমরা মনে করি পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্নের জন্য এড. হাসনাহেনা খান একজন শিখন্ডি হিসাবে কাজ করছে। যার দালিলিক প্রমান হচ্ছে-এড. হাসনা হেনা খান বর্তমানে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কাৰ্য্য নির্বাহী কমিটি গত ইং ১৫/০৩/২০১৮ তারিখে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক অনুমোদিত ও স্বাক্ষরিত সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের-“শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক” হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন এবং অদ্যবধি অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সে কারণে ফ্যাসিস্ট সরকারের একজন রাজনৈতিক দায়িত্বশীল পদে থেকে বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের ইতি বাচক ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে তিনি এই-‘প্রচার পত্র’ বা ‘লিফলেট’ সর্বস্তরে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। যা দুঃখ জনক ও নিন্দনীয়। তাই এ্যাড. হাসনা হেনা খানের অনৈতিক ও বে-আইনী কর্মকান্ডের জন্য বর্তমান সরকারের কাছে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
এবিষয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক পদে থাকার বিষয় অ্যাডভোকেট হাসনা হেনার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এডিট করে আমার নাম বসানো হয়েছে। আমি নাগরিক নারী ঐক্য সাতক্ষীরা জেলার সভানেত্রীর দায়িত্বে আছি। আমি নিয়োগ পেয়েছি বলেই লিফলেট ছাপিয়েছি। তারা আমার স্বাক্ষর দেখাক আমি আওয়ামীলীগের কমিটিতে আছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাড. আব্দুল মজিদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সভাপতি এড. এ এস এম আশরাফুল আলম, সদস্য এ্যাড. সৈয়দ এখলেছার আলী বাচুচু, এ্যাড. বিএম মিজানুর রহমান প্রমুখ।