সাতক্ষীরা নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করে হাসপাতালে পাঠানো বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী অভিযুক্ত বহিস্কৃত শিক্ষক কবির হোসেনের পদত্যাগের দাবীতে উত্তাল বিদ্যালয়। সেই সাথে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিচারের আওতায় আনার লক্ষ্যে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর’২৪) সকালে শহরের মুনজিতপুরস্থ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ফলে সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ করে এবং ক্লাস বর্জন করেন। এতে সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়, বিপাকে পড়ে সাধারণ মানুষ।
এসময় শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক কবির হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন। তাদের সঙ্গে এ স্কুলের অভিভাবকরাও যোগ দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আটকিয়ে রেখে মারপিট করার কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কবির হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন। পরে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম রফিক ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হন। এরপর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রধান শিক্ষককে স্কুলে আসতে অনুরোধ জানান। শিক্ষার্থীদের প্রিয় প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসলে তার অনুরোধে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মাহিরা ইসলাম বলেন, কবির স্যার শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আটকে রেখে মারধর করেছে। এর প্রতিবাদে আমাদের এই অবরোধ কর্মসূচি। প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক গাজীর কঠোর পরিশ্রমের কারণে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বর্ধনসহ বেসরকারি বিদ্যালয় গুলোর মধ্যে খুলনা বিভাগের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে নবারণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। একটি পক্ষ এটিকে বিনষ্ট করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
অভিভাবক রবিউল ইসলাম বলেন, অল্প কয়েকদিন প্রধান শিক্ষক ছুটিতে তাই এই অবস্থা, কদিন পর দেখা যাবে হেড স্যারের অনুপস্থিতিতে বাচ্চাদের মেরে বাইরে ফেলে দেবে শিক্ষক কবির। শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাসহ শিক্ষার যে সুন্দর পরিবেশ ছিল সেটা যেন ফিরে আনার আহবান জানান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাাকার্ড হাতে শিক্ষক কবির এর পদত্যাগের দাবিতে নানা স্লোগান দেয়।
স্কুল কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মইনুল ইসলাম মঈন বলেন, স্কুলের বিয়য়ে আমি অবগত হয়েছি। জরুরী সভা ডেকে সবার মতামতের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।