৬৭ বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর’২৪) রাত ১১ টার দিকে সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই বৃদ্ধাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক বৃদ্ধা জানান, দুই মেয়ে বিয়ে দেওয়ার পর একমাত্র ছেলে অন্যত্র বসবাস করে। নিরুপায় হয়ে তিনি ছেলে ও মেয়েদের বিয়ের ঘটকী হিসেবে কাজ করে থাকেন। শনিবার তিনি তারই পার্শ্ববর্তী গলদারচক(পলগাদা) গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার জন্য কালিগঞ্জের নলতায় মেয়ে দেখাতে নিয়ে যান। সেখান থেকে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন তিনি। রাত ১১টার দিকে আসাদুল তার বাড়িতে এসে মেয়ে সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে আসে। একপর্যায়ে আগামিকাল আবার যাওয়ার কথা বলে খরচের টাকা নেওয়ার জন্য তাকে দরজা খুলতে বলেন। দরজা খোলা মাত্রই আসাদুল তার মুখ চেপে ধরে মাটিতে ফেলে ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে পার্শ্ববর্তী রুহুল আমিন ও আব্দুল মজিদ ছুঁটে এলে আসাদুল পালিয়ে যায়। রাতেই তাকে সখীফুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সোমা রানী দাস জানান, রক্ত বন্ধ করার জন্য তার জরুরী অপারেশনের প্রয়োজন। তাই তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আসাদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
দেবহাটা উপজেলা গুচ্ছগ্রামের রুহুল আমিন ও আব্দুল মজিদ জানান, বিষয়টি জানতে পেরে সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্প থেকে তাদেরকে ফোন করা হয়। সে অনুযায়ি বৃদ্ধার ছেলেকে নিয়ে সেনা ক্যাম্পে যেয়ে আসাদুলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক ইদ্রিসুর রহমান ওই বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসাদুল ইসলামকে আটকের চেষ্টা চলছে। রবিবার সকালে এ ঘটনায় ধর্ষিতার ছেলে বাদি হয়ে মামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।