সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত নদী ইসামতির বেঁড়িবাধে ফাটল দেখা দিয়েছে, আতঙ্কিত এলাকাবাসী। সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
সরেজমিন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের খারহাট এলাকার বেঁড়িবাধে ফটোল দেখা দেওয়ায় এলাকার এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর’২৪) সকালে সরোজমিনে ইছামতি নদীর খারহাট কামদেবপুর এলাকায় ফাটল কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে দেখা যায়, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাত ফাটল দেখা দিয়েছে। নদীর ধার বাঁধের নিচে থেকে মাটি সরে গিয়েছে। নদীর জোয়ার ভাটা বৃদ্ধি পেলে কিংবা বৃষ্টি হলে যে কোন সময়ে বেঁড়িবাধ ভেঙে গিয়ে এলাকায় ব্যাপক ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল খালেক জানান, বসন্তপুর খাদ্য গুদাম থেকে প্রায় পাঁচশো হাত দূরে খারহাট নামক এই এলাকায় বাঁধে গত বৃহস্পতিবার থেকে ফাটল দেখা দেওয়ায় এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছে। যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে গিয়ে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। ফলে হাজার হাজার বিঘা মৎস্যঘের, জমির ফসল, ক্ষেতের সবজি, ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইতিপূর্বে এই এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হলে হাজার হাজার জিও ব্যাক ফেলে ভাঙ্গন রোধ করা হয়।
এলাকার বাসিন্দা ফজলুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকার দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলায় প্রতিবছর এই এলাকায় বাঁধে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। এলাকার বাসিন্দা আকবর আলী বলেন, ইছামতে নদীতে বালু কাটার ফলে সীমান্তের ওপারে ভারত অংশে কোন ক্ষতি হয়নি বরং আমাদের এ ধারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এলাকার মানুষের বাঁচানোর স্বার্থে এখানেই ভেড়িবাঁধ মেরামত ও সংস্কার করা প্রয়োজন তানাহলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। সীমান্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষারহাট ভেড়িবাঁধ যে কোন মুহূর্তে বিলীন হতে পারে নদী গর্ভে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মৎস্য ঘের, জমির ফসল, বাড়িঘর, এলাকার মানুষ।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত বিশ্বাসের কাছে বিষয়টি জানালে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেন। সকাল ৯ টার দিকে কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা নেতৃবৃন্দ ভাঙ্গন ও ফাটল এলাকা পরিদর্শন করেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেতৃবৃন্দ ইট ও বালি নিয়ে রেখেছে, খুবই শিগগিরই কাজ শুরু করবেন।