সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে সহস্রাধিক জনতার অংশগ্রহনে তথ্য সন্ত্রাস, ভুমিদস্যু তুহিন, চাঁদাবাজ আরাফাত আলী, মামুন ও পারভেজ গংদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর-২৪) বেলা ১১ টায় কালিগঞ্জ থানার সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন বক্তব্যে বক্তারা বলেন- আজকের এই মানববন্ধনের বিষয় হচ্ছে, দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামী দুরশাষনের সময়ে কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে হলুদ সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল উপজেলা এলাকায় আম ব্যবসায়ী, কাঠ ব্যবসায়ী, বাগদা চিংড়ি ব্যবসায়ী, বালু ব্যবসায়ী, ছোট বড় ব্যবসায়ীসহ আওয়ামী লীগের বাহিরের ভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া, মামলার ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করা, পুলিশ দিয়ে হয়রানী করানোর নেপথ্যের মুল হোতা ছিলো সাংবাদিক পরিচয়ে অন্যের জমি দখল কারী ভুমিদস্যু পারুলগাছার তুহিন। তার হুকুমে ঐ সকল অপরাধের মুল সহযোগী ছিলো নারীলোভী লম্পট, চাঁদাবাজ মৌতলার আরাফাত আলী, দুদলীর জিএম মামুন ও পানিয়া গ্রামের পারভেজ। তারা এমন ভাবে চাঁদাবাজি করতে করতে কুশুলিয়া গ্রামের বিশিষ্ট হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ও কুশুলিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কাজী শরিফুল ইসলামকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়। পুলিশ তার হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে শরিফুলের মা বাবা আর পরিবারের সদস্যদের নিকট ছিনিয়ে ঘর থেকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে। পুলিশের পাশাপাশি এই আরাফাত, মামুন ও পারভেজ নিজেই নানান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে প্রকাশ্যে দু’লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। একপর্যায়ে সন্তানের কথা চিন্তা করে শরিফুলের বাবা কাজী নবিদুল ইসলাম নবু আরাফাত গংদের সাথে মধ্যস্ততায় শেষমেষ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেয়। এরপরে থানায় নিয়ে কাওকে না জানানোর শর্তে ছেড়ে দেয়। এখানে খ্যান্ত হয়নি তুহিনসহ আরাফাত গং। নানান হুমকি ধমকী দিয়ে আসছিলো বিগত দিনে। ইতিমধ্যে গত ৫ ই আগস্ট ২০২৪ তারিখে ছাত্র জনতা আর বিএনপি সহ অনন্য ফ্যাসিবাদ বিরোধী মনা অনন্য রাজনৈতিক দলের সরব আন্দোলনে দেশ দ্বিতীয় বারের মত স্বাধীনতা লাভ করে। একারণে ব্যাপক হয়রানি আর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত কাজী শরিফুল ইসলাম গত বুধবারে অতি ধুরন্ধর হলুদ সাংবাদিক আরাফাত আলীকে কুশুলিয়া হাটখোলায় পেয়ে তার হাতে দেওয়া ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ফেরত চায়। এসময়ে সে বলে টাকা তো পুলিশকে দিয়েছিলাম, এতোদিন পরে এব্যারে আমি কিছু বলতে করতে পারবো না। এসময়ে শরিফুল কুলাঙ্গার আরাফাত কে একসপ্তাহ সময় দেয় টাকাটা ফেরত দেওয়ার জন্য। এরপরে ক্ষিপ্ত হয়ে তুহিনের নেতৃত্বে আরাফাত মামুন গং শরিফুলকে জড়িয়ে সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, ভুয়া, কাল্পনিক ও হয়রানীকর সংবাদ পরিবেশন করে সমাজে হেয় করাসহ অপদস্ত করেছে। ঐ সংবাদে কালিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী উপজেলা কৃষকদলের সুযোগ্য আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকনসহ দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অশালিন মন্তব্য করে সংবাদ পরিবেশন করে সমাজে হেয় করে। আজকের এই মানববন্ধন থেকে শরিফুল ইসলাম ও রোকনুজ্জামান রোকনকে জড়িয়ে সাতনদীসহ কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে এইসকল চাঁদাবাজ ও মুখোশধারী হলুদ সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য কমাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের সু দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। একইসাথে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আল্টিমেটাম ঘোষনা করা হয়েছে। এরপরে মিছিল সহকারে কালিগঞ্জ রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময়ে বিগত ১৫ বছরে তাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ ও চাঁদাবাজির শিকারগন, হামলা ও মামলার স্বীকারগনসহ শতশত ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেণ।