সাতক্ষীরা সদরের শিকড়ি গ্রামের ময়জদ্দিন আহম্মেদ টুলু নামের এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে তুলে এনে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ রবিবার (০৮ সেপ্টেম্বর ‘২৪) নিহতের স্ত্রী রহিমা খাতুন বাদি হয়ে তৎকালিন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদ শেখসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১২জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক নয়ন বড়াল মামলাটি তদন্তপূর্বক এফআইআর হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদ শেখ, উপপরিদর্শক আবুল কালাম, উপপরিদর্শক নিয়াজ মোঃ খান, সহকারি উপপরিদর্শক আব্দুল মালেকসহ ২১জন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারি রাত আটটার দিকে সাতক্ষীরা সদর থানার তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদ শেখ এর নেতৃত্বে পুলিশ ও কয়েকজন লোক তিনটি কালো রং এর মাইক্রোবাসে করে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিকড়ি গ্রামের ওমির আলী সরদারে মেয়ে রহিমা খাতুনের স্বামী ময়জদ্দিন আহম্মেদ টুলুর বাড়িতে আসে। পুর টুলুকে বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে মাইক্রোবাসে করে সদর থানায় নিয়ে আসে। পরে তাকে তালা থানাধীন তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ১৮ মাইল পাকা রাস্তার পূর্ব পাশের্বর বিশ্বাসপাড়ার রবিউল ইসলামের জমির উপর নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। সেখান থেকে তার লাশ সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। ১৬ জানুয়ারি সকালে খবর পেয়ে সদর হাসপাতালে গেলে ময়না তদন্ত শেষে টুলুর লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা করে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে টুলুকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়। পুলিশ টুলুকে একজন মাদক ব্যবসায়ি হিসেবে প্রচার দিয়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে টুলু মৃত্যুবরণ করেছে মর্মে প্রচার দেয়। পুলিশের হুমকিতে নিহতের স্বজনরা তখন মামলা করতে পারেননি। বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকুলে হওয়ায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. জিয়াউর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।