১৯৭৪ সালে আর্তমানবতার সেবায় বেসরকারি সংস্থা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রজেক্ট (সিএইচসিপি) গঠিত হয়। পরবর্তীতে কোটালীপাড়াসহ এ অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মানুষদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে এখানে সংস্থাটির একটি আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করা হয়। কোটালীপাড়ায় কার্যালয় স্থাপনের পরে প্রায় ৫০ বছর ধরে এ এলাকার সাধারণ মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
কিন্তু বর্তমান সরকারের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পরে সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, হামলা-মামলার জেরে সংস্থাটির সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাজারো সাধারণ মানুষ। ভুক্তভোগীরা জানায়, সংস্থাটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমরা আশপাশের কয়েকটি এলাকার মানুষ এই প্রতিষ্ঠান থেকে স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা, অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে আসছিলাম। কিন্তু গত, ৬ আগষ্ট থেকে দুই পক্ষের ঝামেলা শুরু হলে বন্ধ হয়ে যায় এই অফিসের কার্যক্রম। এরপর থেকে আমরা সব ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমরা সাধারণ মানুষ চলমান এই সমস্যার অতিদ্রুত সমাধানের দাবি জানাই।
কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রজেক্ট (সিএইচসিপি) এর বর্তমান নির্বাহী পরিচালক ডেভিট অধিকারী বলেন, সারা দেশের মতো কোটালীপাড়া আঞ্চলিক অফিসও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেন লোকজন নিয়ে উপজেলার মাদার বাড়িতে অবস্থিত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রজেক্ট (সিএইচসিপি) আঞ্চলিক কার্যালয়টি দখল করে নেয়। এ ঘটনায় সংস্থাটির পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হলেও কোটালীপাড়া থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রজেক্ট (সিএইচসিপি) এর কোটালীপাড়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের মনিটরিং অফিসার, ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক কৌশিক অধিকারী বলেন, গত ৬ আগস্ট কামাল হোসেন লোকজন নিয়ে এসে আমাদের কার্যালয়টি দখল করে নেয়। এসময় আমরা বাঁধা দিতে গেলে তিনি আমাদেরকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে কার্যালয় থেকে বের করে দেন।
এ বিষয়ে কামাল হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি কোন রাজনৈতিক ও স্থানীয় শক্তি প্রয়োগ করে এখানে বসিনি। অফিসিয়াল নিয়মতান্ত্রিকভাবে বসেছি এবং অফিস সুনামের সাথে পরিচালনা করে আসতেছি।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।