দ্বিতীয় শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় জনতা এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙা বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়।
এদিকে ধর্ষককে ছাড়িয়ে নিতে একটি মহল শুক্রবার দুপুর থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ছাড়াতে সক্ষম না হলে কম বয়স দেখিয়ে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করে আদালত থেকে জামিন সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। সেকারণে পুলিশ শুক্রবার ওই আসামীকে আদালতে পাঠায়নি বলে নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদরর ঝাউডাঙা ইউনিয়নের এক ইজিবাইক চালকের মেয়ে (৮) ও স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে বুধবার সকাল ১১টার দিকে তাদেরই আত্মীয় একই গ্রামের মালয়শিয়ায় অবস্থানরত বাবলু শেখের বাড়িতে খেলতে যায়। বাবলু শেখের ছেলে আলী শেখ (১৭) তার মেয়েকে খাবার দেওয়ার নাম করে ঘরে ডেকে নিয়ে মুখ চেপে ধরে খুন করার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়ে বাড়িতে আসার সময় তার হাঁটা চলা অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় জিজ্ঞাসা করতেই সে বাবা ও মায়ের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেয়। মেয়েটিকে বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেয়েটিকে নিয়ে যাতে হাসপাতালে বা থানায় না নিয়ে যাওয়া হয় সেজন্য একই গ্রামের একটি মহল তাদের ইজিবাইক অবরোধ করে। তারা টাকা অথবা জমি নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
ধর্ষিতা ওই মেয়ের বাবার অভিযোগ, ঘটনার রাতেই তিনি বাদি হয়ে আলী শেখের নাম উল্লেখ করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে আসামী পক্ষের লোকজন তাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছে। মামলা তুলে না নেওয়ায় শুক্রবার দুপুরে আসামী গ্রেপ্তার হওয়ায় তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য সব ধরণের চেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল। ছাড়িয়ে নিতে না পারলে জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি করে বয়স কম দেখিয়ে শিশু কিশোর আইনে রবিবার তাকে আদালত থেকে জামিনে মুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
ঝাউডাঙা বাজিার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন বলেন, ধর্ষক আলী শেখকে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে আটক করে সদর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা অহিদুজ্জামানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
সদর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা অহিদুজ্জামান বলেন, আলী শেখকে যথাসময়ছ আদালতে পাঠানো হবে।