সাতক্ষীরা শ্যামনগরের ১০নং আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে কার্ত্তিক চন্দ্র মন্ডল, ইউপি সচিব-এর সভাপতিত্বে চিংড়ি খামারে সমকাজে সমমজুরী নিশ্চিতকল্পে স্থানীয় সরকার ও সুশীল সমাজ প্রতিনিধিদের সাথে এক সংবেদনশীলতা সভা গতকাল ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হয়।
লিডার্স এর বাস্তবায়নাধীন বিন্দু নারী উন্নয়ন সংগঠনের স্থানীয় সহযোগিতায় অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ এর অর্থায়নে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোহন কুমার মন্ডল, নির্বাহী পরিচালক, লিডার্স। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন, আলহাজ¦ আবু সালেহ বাবু, চেয়ারম্যান, ১০নং আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, তিনি তার বক্তব্যে বলেন, চিংড়ি ঘেরে নারী শ্রমিকরা নায্য ও পুরুষের ন্যায় সম মজুরী পায়না, কিন্তু পুরুষের চেয়ে তারা বেশি কাজ করেন। এজন্য বর্তমান সময় বিবেচনা করে তাদের মজুরী বৃদ্ধির বিষয়টি ঘের মালিক ও সুশীল সমাজ প্রতিনিধিদের গুরুত্ব দিতে হবে এবং আমরা আজ থেকে প্রত্যেক পরিবারে যে শ্রমিকদের কাজ করাই সেখানে নারী ও পুরুষ শ্রমিককে সমমজুরী দেওয়া শুরু করতে হবে ও চিংড়ি খামারে কর্মরত নারী শ্রমিকের জন্য টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে।”
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, মোঃ আসাদুজ্জামান, প্রধান শিক্ষক, নওয়াবেঁকী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জি.এম নাসির উদ্দীন, সহঃশিক্ষক, ছফিরুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বিপিএড শিক্ষক, নওয়াবেঁকী কলেজ, এম. মারুফ বিল্লাহ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, রেনুকা রানী মন্ডল, ইউপি সদস্য, তাহমিনা বেগম, ইউপি সদস্য, স্বপন কুমার বৈদ্য, ইউপি সদস্য, মোঃ আঃ গফুর ঢালী, ইউপি সদস্য, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ইউপি সদস্যসহ আটুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের অন্যান্য ইউপি সদস্য ও সদস্যাবৃন্দ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক, ডাক্তার, ব্যবসায়ী, ঘের মালিক, সমাজসেবক, সাংবাদিক ও নারী চিংড়ি শ্রমিক দলের সদস্যরা। সভায় সহায়তা করেন আলীম আল-রাজী, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, তমালিকা মল্লিক, এ্যাডভোকেসি অফিসার, দেবব্রত কুমার গাইন, প্রোগাম অফিসার, অমিয় কুমার মন্ডল, হিসাবরক্ষক, শিরিনা খাতুন ও সাধনা রানী বৈদ্য, কমিউনিটি মবিলাইজার, লিডার্স। সভায় আটুলিয়া ইউনিয়নের মোট ৪০জন স্থানীয় সরকার ও সুশীল সমাজ প্রতিনিধি স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহন ও গুরুত্বপূর্ন মতামত প্রদান করেন। অবশেষে স্থানীয় চিংড়ি ঘের মালিক, শরৎ চন্দ্র মন্ডল ও বিকাশ মন্ডল নারী চিংড়ি শ্রমিকদের পুরুষ শ্রমিকের ন্যায় সমমজুরী দেবার আশ্বাস প্রদান করেন এবং অন্য ঘের মালিকরাও সমমজুরী দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।