করোনাকালের প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ত্রাণসামগ্রী না দিয়েই রেখে দেওয়া হয়েছে কোনাবাড়ী বিসিক শিল্প নগরীর টেলিফোন ভবনে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ১০ কেজি ওজনের ৫২ টি চাউলের পেকেট রয়েছে টেলিফোন ভবনে। অথচ ওই ত্রাণসামগ্রী থাকার কথা ছিলো তার নিজ অফিসে। মহামারী করোনাভাইরাস এর সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন অসহায় হতদরিদ্রের মাঝে বিতরণের জন্য। কিন্তু তিনি তা বিতরণ না করে ওই ভবনের সিঁড়ির নিচে রেখেদেন। যারফলে চাউল গুলো নষ্ট হওয়ার পথে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের এক নেতা জানান, কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন মোল্লা চেহারা দেখে তার নিজের লোকদের মাঝে কিছু ত্রাণসামগ্রী দিয়েছে। অনেকের আইডি কার্ড নিয়েছে কিন্তু তাদের ত্রাণসামগ্রী বুঝে পায়নি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ত্রাণসামগ্রী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে বিতরণ করলেও রাখা হয়নি আওয়ামীলীগের কোন নেতাকর্মীকে। কেন রাখা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের রাখলেতো আর অনিয়ম করা যাবেনা। তার ওয়ার্ডের এক রিক্সা চালক জানান, বাবা আমি চারদিন গুরছি তাও আমারে চাউল দেয়নাই। হুনছিলাম সরকারের কাছ থাইকা অনেক চাউল আইছে।
এ ব্যাপারে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাসির মোল্লা বলেন,চাউল গুলো গোডাউনে রাখা হয়েছে। প্রতিদিন বিতরণ করা হচ্ছে। মাষ্টার রোলে যাদের নাম আছে তাদের দেওয়া হচ্ছে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল ৭ এর সভাপতি ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সেলিম রহমান বলেন, আঞ্চলিক এক অফিসারের মাধ্যমে অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
তবে এতদিন ত্রাণ থাকার কথা নয়।
কোনাবাড়ী মেট্রোপলিটন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)এমদাদ হোসেন জানান, এ বিষয়টা দেখেন ডিসি (জেলা প্রশাসক)। তিনি বলেন, আগামীকাল ওই কাউন্সিলরকে ডিসি অফিসে কাগজ পত্র নিয়ে যেতে হবে। যদি তার কাজপত্র বৈধ থাকে সেটা ডিসি (জেলা প্রশাসক) দেখবে। আর যদি কাগজ পত্র অবৈধ হয় তাহলে ডিসি (জেলা প্রশাসক) নিজে বাদী হয়ে ব্যবস্থা নিবেন।
এব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম এতদিন ত্রাণসামগ্রী রাখার কোন নিয়ম নাই। অন্য আরেকটি সরকারী ভবনে রেখে তিনি নিয়ম বহির্ভূত কাজ করেছেন।