‘রাতের বেলা আলোতে অনেক পোকা আকৃষ্ট হয়। তাই আলো ব্যবহার করে উপকারী এবং ক্ষতিকর পোকা চেনা যায়। আলোতে আকৃষ্ট হয় পোকা উড়ে আসবে এবং সেখানে ধাক্কা খেয়ে পানির পাত্রে পড়ে। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে ২-৩ ঘণ্টা পর্যন্ত আলোক ফাঁদ কার্যকর থাকে। কৃষকরা যদি এ উপায় অবলম্বন করে, তা হলে তারা জানতে পারবে ধান ক্ষেতে কি ধরনের পোকার আক্রমণ করছে। ফলে কৃষকরা জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে পারে। এতে তাদের না বুঝে অতিরিক্ত অর্থ নষ্ট হবে না। আলোক ফাঁদ কখনো ক্ষেতের মধ্য স্থাপন করা যাবে না। ধান পুষ্ট হয়ে গেলে আর আলঝকফাঁদ প্রয়োজন হয় না। তবে বাদামি গাছে ফড়িংয়ের আক্রমণ অব্যাহত থাকলে আলোক ফাঁদও চালিয়ে যেতে হবে।’
বুধবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের ভাড়ুখালী সেনকা ব্লক আলোক ফাঁদ সমপনকালে বক্তারা এসব কথা বলেন। আলোক ফাঁদ স্থাপনকালে কৃষকদের উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. নূরুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্লাবণী সরকার, উপ সহকারী কষি কর্মকর্তা তামান্না তাছনীম, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তারেক কুমার, ইউপি সদস্য মুতাছিম বিল্লাহ প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষক আসাদুল ইসলাম, জব্বার মোড়ল, আব্দুল মুজিদ, রফিকুল ইসলাম, সোহাগসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।