সাতক্ষীরা সদর থানাধীন কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারি উপপরিদর্শক নারায়ন চন্দ্র মণ্ডল মাদকসেবীর ছুরিকাঘাতে জখম হয়েছেন। বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মিলবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ হামলাকারি মাদকাসক্ত ইয়াছিন আলীকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত ইয়াছিন আলী সাতক্ষীরা সদরের মাগুরা গ্রামের মৃত জিয়াদ গাজীর ছেলে।
মিলবাজারর ব্যবসায়ি হাসানুজ্জামান ও মনিরুল ইসলাম জানান, বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সাতক্ষীরার ৩৩ বিজিবি ক্যাম্পের প্রাচীরের পার্শ্ববর্তী পুকুরের পাশে মাগুরার কুখ্যাত মাদকসেবী ইয়াছিনকে (২৬) ধরতে যান কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারি উপপরিদর্শক নারায়ান চন্দ্র মণ্ডল ও একজন সিপাহী। এ সময় ইয়াছিন দৌড়ে পালাতে গেলে তাকে ধরে ফেলেন নারায়ন মণ্ডল। বেগতিক বুঝে ইয়াছিন তার কাছ থাকা ছুরি দিয়ে নারায়ন মণ্ডলের উপর আঘাত করে। যদিও পরে ইয়াছিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নারায়ণ মণ্ডলকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তারা আরও জানান, ইয়াছিন একজন কুখ্যাত মাদকসেবী। সম্প্রতি তার ছুরির আঘাতে মাগুরা গ্রামের আওয়ামী লীগ নতো গাউস, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আসাদুজ্জামান ও কর্মকারপাড়ার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র জয়দেব কর্মকারসহ কয়েকজন জখম হয়েছেন।
লাবসা ইউপি’র আট নং ওয়ার্ডের সদস্য নজিবর রহমান টুটুল বলেন, মাদকাসক্ত ইয়াছিনের ছুরি আঘাতে পুলিশ সদস্য নারায়ন চন্দ্র মন্ডল সামান্য আহত হয়েছনে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ রওশন দাঈমী জানান, পুলিশ সদস্য নারায়ন চন্দ্র মণ্ডলের শরীরের কয়েকটি স্থানে ধারালো কিছু জিনিস দিয়ে কেটে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ছেলের অত্যাচারে বাড়িতে ঢুকতে না পেরে ইয়াছিনর বিরুদ্ধে সম্প্রতি থানায় অভিযোগ করেন মা রোকেয়া খাতুন। সে কারণে সহকারি উপপরিদর্শক নারায়ন মণ্ডল বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে মিলবাজার এলাকায় ইয়াছিনকে ধরতে গেলে তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এতে নারায়ন মণ্ডলের শরীরের কয়েকটি স্থানে চামড়া ছুলে যায়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইয়াছিনকে।