অপহরণের ১৫দিন পর সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বুড়িয়া গ্রামের অপহৃত নবম শ্রেণীর ছাত্রী উদ্ধার ও অপহরণকারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। র্যাব এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক মহিতুর রহমান মঙ্গলবার রাতে ঢাকার আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার ও উদ্ধার করেন।
আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের একটি গ্রামের এক ব্যবসায়ি জানান, গত ২ মে মঙ্গলবার বিকেল ৬টার দিকে আফতাবউদ্দিন কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী তার মেয়েকে (১৫) বাড়ির সামনে থেকে একই গ্রামের খোকন সরদারের ছেলে বখাটে নাঈম সরদার (২৪) তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে মটর সাইকেলে জোরপূর্বক অপহরণ করে। এ সময় মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশিরা তাদেরকে ধরার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে ৪ মে আশাশুনি থানায় নাঈম, তার বাবা খোকন সরদারসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ২০০০ সালের সংশোধিত ২০০৩ এর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। ।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক মহিতুর রহমান বুধবার বিকেল ৬টা ৪০ মিনিটে এ প্রতিবেদককে জানান, মামলার পরদিন ধ্রব মাঝিকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব এর সহায়তায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৃষ্ণাকে উদ্ধার ও নাঈমসহ চারজন আসামীকে ধরার ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার গভীর রাতে নাঈমকে ঢাকার আশুলিয়া এলকায় তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ভিকটিমকে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে এফিডেফিট করে ভিকটিমকে বিয়ে করেছে মর্মে জানায় নাঈম। সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় তাদেরকে নিয়ে সাতক্ষীরায় আসার পর আশাশুনির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তিনি। বৃহষ্পতিবার আসামীকে আদালতে পাঠানো হবে। ভিকটিমকে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি শেষে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে।