রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
তালায় অর্ধবার্ষিক লবি সভা অনুষ্ঠিত হ্যাচারি পরিচালনায় দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানসম্মত পোনা উৎপাদনের লক্ষ্য অর্জন বিষয়ক গোলটেবিল আলোচনা শ্রিম্প হ্যাচারি এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সেব এর উদ্যোগে সাতক্ষীরায় মতবিনিময় সভা সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েলের মতবিনিময় তালায় আইন সেবিকাদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশ অনুষ্ঠিত নানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উদযাপন ট্রলারসহ সুন্দরবন থেকে ৭ জে লে আ ট ক জমকালো আয়োজনে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট ক্লাবের আত্মপ্রকাশ গৌরবোজ্জ্বল ‘কলারোয়া মুক্ত’ দিবস পালিত  আমার সময়ে যে উন্নয়ন করেছি বিগত ৫৪ বছরেও সে উন্নয়ন হয়নি – কাজী আলাউদ্দিন 

কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদের প্রবল জোয়ারের পানিতে আবারও রিংবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত

আসাদুজ্জামান::
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৩৮৬ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরার উপকুলীয় উপজেলা আশাশুনির কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদের গত দুই দিনের প্রবল জোয়ারের পানিতে আবারও রিংবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।

ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। এরফলে বানভাসিরা নতুন করে আবারও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। খাওয়ার কষ্ট তা রয়েছেই, তার উপর বিশুদ্ধ পানির সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। বাঁধে বসবাস করা নারীরা পয়ঃনিস্কাশনের সমস্যায় চরম বিপাকে পড়েছেন। আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, শ্রীউলা ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের প্রায় ১০/১২ টি স্থানের রিংবাধ গত দুই দিনের প্রবল জোয়ারের চাপে ভেঙ্গে যাতায়াতের প্রধান সড়কের (পাকা রাস্তার) উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। দীর্ঘ ৪ মাসও টেকসই বেঁড়িবাঁধ নির্মান না করায় এসব এলাকাকে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে ও ২০ আগস্ট নদীর জোয়ারের পানির অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকুলীয় বেড়ী বাঁধ ও রিং বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। বিশেষ করে প্রতাপননগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রাম এখনও পানিতে ডুবে রয়েছে। তার উপর চলতি অমাবশ্যার গোনে নদীর পানির প্রবল স্রোতে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। এতে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে নতুন করে পানিতে নিমজ্জিত। দূর্গত মানুষের এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানর নেতৃত্ব এলাকার শত শত মানুষ আবারও রিং বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করছেন।

এদিকে,আশাশুনি উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিদর্শন করে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি দূর্গতদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন করেছেন। তিনি এ সময় বলেন, খুব দ্রুতই টেঁকসই বেঁড়িবাধ নির্মানের কাজ শুরু করা হবে।

আশাশুনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসিম বরন চক্রবর্তী জানান, গত দুই দিনের জোয়ারে প্রতাপনগর ইউনিয়নর চাকলা, হরিশখালী, কর্মকারবাড়ী, কোলা, শ্রীউলা ইউনিয়নের কৈলিমাখালী, মাড়িয়ালা ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের দেয়ারঘাট এলাকায় রিংবাধ ভেঙ্গে প্রবল বেগে পানি লোকালয় প্রবেশ করেছে। এতে দূর্গত মানুষরা আবারও নতুন করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

তিনি আরো জানান, আগামী শুষ্ক মৌসুম অর্থাৎ নভেম্বর মাস নাগাদ এসব এলাকায় টেকসই বেড়িবাধ নির্মান শুরু হবে।

উল্লেখ্য, গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে সাতক্ষীরার উপকুলীয় এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ৩০টি পয়েন্টে সাড়ে ৫৭ কিলোমিটার বেঁড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলায়। ওই সময় বেশকিছু স্থানে রিং বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করা হলেও আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের বড় একটি অংশের লোকালয়ে চলে জোয়ার-ভাটা। কিছু কিছু এলাকায় রিংবাধ দিয়ে পানি বন্ধ করা হলেও তা আবারও ভেঙ্গে গেছে।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020 All rights reserved
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!