পিতা-মাতা ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হয়রানির চক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে হস্তক্ষেপ করেছেন এক নববধু। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোত্তালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী জেলার দক্ষিণহাজারীবাড়ী মাস্টার পাড়া গ্রামের সিরাজের কন্যা নাহিদা আক্তার।
লিখিত বক্তব্যে নাহিদা আক্তার বলেন, চলতি বছরের শুরুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয় সাতক্ষীরার গড়েরকান্দা গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র ইমরান সরদারের সাথে।
ইমরান সরদারের সাথে যোগাযোগের একপর্যায়ে তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্ককে বাস্তবে রূপ দিতে সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় আমি পিতার বাড়ি অর্থ্যাৎ দক্ষিণ হাজারীবাড়ী মাষ্টার পাড়া থেকে ইমরান সরদারের বাড়িতে চলে আসি। প্রথমে তার (ইমরানের) পিতা-মাতা আমাকে আমার পিতা-মাতার অনুমতি নেওয়ার জন্য চাপ দিলেও আমার জোরাজুড়িতে আমার সাথে ইমরান সরদারকে বিবাহ দিতে রাজি হন।
একপর্যায়ে আমার জন্ম তারিখ অনুযায়ী আমার বিবাহের বয়স পূর্ণ হওয়ায় গত ১৩ অক্টোবর ২২ তারিখে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন বিবাহের পর স্বামীসহ তার পিতা মাতার সাথে সংসার গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমার পিতা-মাতা বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ আমি তো নিজের ইচ্ছাতেই আমার স্বামীর বাড়িতে চলে এসেছি। এতে কারো কোন উস্কানি বা প্ররোচনা নেই। বিষয়টি আমার পিতা-মাতা মানতে নারাজ। স্বামী এবং তার পরিবারের কোন সদস্য যাতে এবিষয়ে কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হন বিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ওই নববধু।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।