শামছুন্নাহার নামের তিন সন্তানের জননীকে তার স্বামী পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ভোরে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত গৃহবধূর শামসুন্নাহার (৪৫) আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের গোলাম মোস্তফার (৫১) স্ত্রী।
প্রতাপনগর গ্রামের নুরুল ইসলাম জানান, তার ভাই গোলাম মোস্তফা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ। প্রতি মাসে তার ইনজেকশান দেওয়া লাগে। না দিলে পাগলামি শুরু করে। সম্প্রতি তার পাগলামি বেড়ে গিয়েছিল। রবিবার গভীর রাতে তারা স্বামী-স্ত্রী এক সাথে ঘুমিয়ে পড়েছিল। সোমবার ভোরে শামসুন্নাহারের গোঙানির শব্দ শুনে তাদের ঘরের পাশে গেলে দরজা বন্ধ দেখতে পান।
ধাক্কা-ধাক্কির একপর্যায়ে গোলাম মোস্তফা দরজার ছিটকানি খুলে পালিয়ে যায়। ভেতরে গিয়ে শামসুন্নাহারকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। তাকে জরুরী ভিত্তিতে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। শামসুন্নাহারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ধারনা করা হচ্ছে তাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোমিনুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তাকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় সোমবার বিকেল তিনটায় স্বামী গোলাম মোস্তফাাকে পদ্মপুকুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।