গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জমি সংক্রান্তে বিরোধ, মীমাংসার লক্ষে স্থানীয় মুরুব্বি সেলিম শিকদারের বাড়িতে সালিশ-বৈঠকের কথা বলে নিজবাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে উপুর্যপুরি হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ রিপন সিকদার গং-এর বিরুদ্ধে।
গতকাল শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে সন্ত্রাসী এ কর্মকান্ডটি ঘটেছে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী ইউনিয়নের দক্ষিণ কুশলী গ্রামে। এঘটনায় মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত ভুক্তভোগীরা হলেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী ইউনিয়নের দক্ষিণ কুশলী গ্রামের ক্বারী আব্দুল মান্নান সিকদারের ছেলে আবুদারদা শিকদার (৩৪), হাদিউজ্জামান শিকদার (২৮) ও জহিরুল ইসলাম শিকদার (২২)। পরে স্থানীয়রা ও স্বজনেরা তাদেরকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেওয়ার পর ওই রাতে তাদের ওপর প্রতিপক্ষের লোকজন পুনরায় হামলা চালানোর চেষ্টা চালালে পরে হাসপাতালে দায়িত্বরত কর্মচারী ও স্বজনদের হস্তক্ষেপে এ যাত্রায়ও প্রাণে রক্ষা পান ভুক্তভোগীরা।
পরে এ বিষয়ে আহত জহিরুল ইসলাম শিকদার নিজে বাদী হয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার কুশলী ইউনিয়নের দক্ষিণ কুশলী গ্রামের চাঁনমিয়া শিকদারের ছেলে রিপন শিকদার (৪৫) ও তার সহোদর মুশফিক শিকদার (২৭), রিপন শিকদারের ছেলে মোমিন শিকদার (২০) ও রিপন শিকদারের পিতা চাঁনমিয়া শিকদার (৭৫) -এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) তন্ময় মন্ডল থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
কুশলী ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সরদার বলেন, বিষয়টি আমি পরে জেনেছি। এঘটনায় আমি গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি।
এদিকে সালিশ- মীমাংসায় হামলার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী ও সচেতন মহল। সালিশ মীমাংসায় এ ধরনের ঘটনা চলমান থাকলে ভবিষ্যতে ছোটখাটো বিষয়ে আর সালিশ-বৈঠক এ বসার আগ্রহ হারাবে সকলে। তাই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে আহ্বান সচেতন মহলের।