জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ৪ মাসের অন্তসত্বা বাচ্চা নষ্টের মামলা তুলে নিতে খুন জখম এবং বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আশাশুনির কাকবাসিয়া গ্রামের জালাল গাজীর ছেলে রাসেল গাজী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কাকবাসিয়া গ্রামের জালাল গাজীর পুত্র মামুন গাজী ও রুবেল গাজী, চেউটিয়া গ্রামের মৃত ওমর গাজীর পুত্র মোঃ আশরাফুল গাজী, কাকবাসিয়া গ্রামের মামুন গাজীর স্ত্রী সালমা খাতুন, জালাল গাজীর স্ত্রী শাহানারা খাতুন, সালাম গাজীর ছেলে হাসান গাজী ও শাহিন গাজী গংয়ের সাথে আমাদের বিরোধ চলে আসছিল।
এর জের ধরে গত ১৩ আগস্ট বেলা ৯টার দিকে আমার বাড়ির মধ্যে দলবদ্ধ হয়ে লোহার রড, ধারালো দা, হাতুড়ি, বাশের লাঠিসোটা নিয়ে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। মৌখিকভাবে আমি প্রতিবাদ করার আমাকে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। সেসময় আমার চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সুমাইয়া ঠেকানোর চেষ্টা করলে তারা সুমাইয়ার পেটে স্বজোরে একাধিকবার লাথি মেরে মারাত্মক আহত করে। এতে সুমাইয়ার পেটে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে সুমাইয়াকে আশংকা জনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক তার পেটের সন্তানটি মারা যায়। ১৭ আগষ্ট ২০২০ তারিখে রাত্র সাড়ে ১২টার দিকে সুমাইয়া চার মাসের একটি মৃত্যু সন্তান প্রসাব করে এবং সুমাইয়ার অবস্থাও আশাংকা জনক ছিলো। প্রায় দীর্ঘ ৮দিন উন্নত চিকিৎসার পর আমার স্ত্রী সুমাইয়া মোটামুটি সুস্থ্যতা অনুভব করতে থাকে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আমলী ৮নং আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং সিআর-১৪৭/২০২০ (আশার) আদালত মামলাটি গ্রহণ পূর্বক পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার করায় আমাদের বসতবাড়ী ভাংচুর করে তাড়িয়ে দিয়েছে।
মামলা তুলে না নিলে তোদের যেখানে পাবো সেখানেই খুন করবো, মারপিট করে হাত পা ভেঙে দেবো। তাদের ভয়ে আমি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বর্তমানে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমি একজন ইটভাটা শ্রমিক। তাদের মারপিটে আমার ৪ মাসের অন্ত:সত্বা স্ত্রীর সন্তান নষ্ট হলো, প্রচুর রক্তক্ষরনের যন্ত্রনা এখনো তাকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। অথচ বিচারের দাবিতে মামলা করায় এখন জীবনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। বর্তমানে তাদের ভয়ে আমরা জীবনের চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি।
তিনি উল্লেখিত ব্যক্তিদের গ্রেফতারপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিজ বসত ভিটায় যাতে ফিরতে পারেন সে ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।