সাতক্ষীরার দেবহাটায় এবার তুচ্ছ ঘটনায় বউমার ধাক্কায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে শ্বাশুড়ি নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার গভীর রাতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার বিকালে দেবহাটার দবেীশহর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্বাশুড়ির নাম মর্জিনা খাতুন (৬৪)। তিনি দেবহাটা উপজেলার দবেীশহর গ্রামের আব্দুর রহমানর স্ত্রী।
এদিকে, ঘাতক বউমার নাম মিতা পারভীন (২৫)। তিনি হাসান কারিগরের স্ত্রী ও মর্জিনা খাতুনের ছোট বৌমা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেবীশহর গ্রামের কারিগর পাড়ায় বসবাসকারি প্রতিবেশি এক ব্যক্তি জানান, তুচ্ছ কিছু ঘটনার জেরে বউ-শ্বাশুড়ির মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। বুধবার বিকেলে রান্না করা নিয়ে দুই জনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শ্বাশুড়ি মর্জিনা খাতুন বউমা মিতা পারভীনকে দুটা চড় মারেন। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয় বউমাও শ্বাশুড়িকে দেওয়ালের গায়ে সজোরে ধাক্কা মারেন। এতে শ্বাশুড়ি মাথা ফেটে গুরুতর জখম হন। গুরুতর আহত অবস্থায় শ্বাশুড়ি মর্জিনা খাতুনকে পরিবারের সদস্যরা প্রথমে সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বুধবার মধ্যরাতে মর্জিনা খাতুন সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মর্জিনার স্বামী আব্দুর রহমান জানান, মরদেহ বাড়িতে আনা হয়েছে। বাদ যোহর জানাজার নামাজ হবে। পারিবারিক কলহে বউমার দেওয়া ধাক্কায় তার শ্বাশুড়ি মারা গেছেন এটা স্বীকার করে তিনি বলেন, মামলা-মোকদ্দমার ঝামেলায় যাবোনা বিধায় মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়নি।
দেবহাটা থানার ওসি শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।