একাধিক বিবাহের হোতা. চাঁদাবাজ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ভুরুলিয়ার হাফিজুর রহমানের কবল থেকে ইউনিয়নবাসীকে রক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, শ্যামনগরের রামগোবিন্দপুর ধাপুয়ারচক গ্রামের মৃত. তৈবুল্লাহ মিস্ত্রির পুত্র আবু দায়ান মিস্ত্রি।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, রামগোবিন্দপুর (ধাপুয়ারচক) গ্রামের আ: বারেক মিস্ত্রির পুত্র শ্যামনগর উপজেলার কুখ্যাত চিটার, বাটপার, সাতক্ষীরার চিহ্নিত মটরসাইকেল সিন্ডিকেটের হোতা বন্দুকযুদ্ধে নিহত রেজাউলের অন্যতমসহযোগি, একাধিক বিবাহের হোতা হাফিজুর রহমানের কারনে অত্র ইউনিয়নবাসী অতিষ্ট হয়েছে। সে বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। একই এলাকার রাবেয়া খাতুনের সাথে প্রতারনার মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। একসময়ে হাফিজুর রহমান টক্কর সাপের ব্যবসা করত ভারতের কতিপয় ব্যক্তির সাথে। সে সময় পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো। তার বাড়িতে এখনো পুলিশের পোষাক, হ্যান্ডকাপ আছে। গত কয়েকবছর পূর্বে আশাশুনিতে প্রভাষক পরিচয় দিয়ে বিবাহ করে তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে কালিগঞ্জ সার্কেল সাহেব মিমাংসা করে দেন। ২০১৯ সালে শ্যামগরের ফাস্টসিকিউরিটি ব্যাংকের সামনে থেকে ১২০ বোতল ফেন্সিডিলসহ পুলিশের হাতে আটক হয়। তার নামে দুটি মাদক মামলা রয়েছে। হাফিজুর একাধিক বিবাহের হোতা। তিনটি কন্যাসহ সম্প্রতি এক নারীকে বিবাহ করে বর্তমানে তার সাথেই সংসার করছে।
তার দলীয় কোন পদ পদবী না থাকলেও পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য সিরাজপুরের কালামের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা, সিরাজপুরগ্রামের মজি সরদার কে ভূয়া ওয়ারেন্ট দেখিয়ে আড়াই হাজার টাকা এবং ধাপুয়ারচকের কালামের ঘাড়ে অস্ত্র রেখে ছবি তুলে পরবর্তীতে ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে সাড়ে ১২ হাজার টাকা সহ বিভিন্ন পরিচয়ে ইউনিয়নের মানুষেরকাছ থেকে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এক সময়ে তার কিছুই না থাকলেও বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। তার কোন বৈধ ব্যবসা নেই। মাত্র কয়েকবছর পূর্বেও ভারতে রাজমিস্ত্রির যোগাড়ে হিসেবে কাজ করত হাফিজুর রহমান। অথচ এখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। তার বর্তমান ব্যবসা হলো ইউনিয়নের অসহায় মানুষকে পুলিশ, র্যাবসহ আইন শৃ্খংলা বাহিনীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করা। তার অত্যাচারে অত্র ইউনিয়নের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেও কোন প্রতিকার হয়নি।
তিনি ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে হাফিজুরের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।