টুঙ্গিপাড়ার গওহরডাঙ্গা গ্রামের সন্তান হাফেজ মাওলানা আহসান ইলিয়াস। অভাবের তাড়নায় দিশেহারা ও নিরুপায় হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট গনমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য ও তার ৬ শতাংশ জমির ওপর একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
জানাগেছে, গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গওহরডাঙ্গা গ্রামের মো. বেলায়েত হোসেন সিকদারের ৫ম পুত্র হাফেজ মাওলানা আহসান ইলিয়াস। অভাবের তাড়নায় বিগত ২০১৩ সালে স্বস্ত্রীক ঢাকায় পাড়ি জমান। সেখানে উত্তরা মডেল এর একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়, সন্তানভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে শারিরীক নানা জটিলতায় সন্তানকে বাঁচাতে চিকিৎসায় সে প্রায় ১১ লক্ষাধিক টাকা ঋনগ্রস্থ হয়। কিন্তু শতচেষ্টা করেও সে তার সন্তানকে বাঁচাতে পারেনি। ২০২০ সালের শেষের দিকে তার সংসারে ২য় সন্তান জন্ম নেয়, পথিমধ্যে মন্ডল গ্রুপের অফিস পরিবর্তন করে অন্যত্র চলে গেলে তিনি বেকার হয়ে পড়েন। পথে পথে ঘুরে অবশেষে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। বসতঘর না থাকায় শ্বশুরালয়ে আশ্রয় নেন। ঢাকায় ফিরে গিয়ে তিনি বিভিন্ন বাসায় বাসায় আরবী শিক্ষা দেন।
রোববার (১৫ মে) সকালে তিনি ঋণ মুক্ত হতে গনমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আর্থিক সাহায্য এবং তার ৬ শতাংশ জমির ওপরে একটি ঘরনির্মাণ করে অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে আকুতি জানান।
এসময় তিনি বলেন, পবিত্র কুরআনের হাফেজ ও একজন ইমাম হয়ে আমি কোন চাকুরি অথবা ভিক্ষা চাইছি না। তাছাড়া ভিক্ষাবৃত্তি পবিত্র ইসলাম ধর্ম কখনো সমর্থন করে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা, অসহায় ও নিপীড়িত রোহিঙ্গাদেরকে আমাদের দেশে আশ্রয়-প্রশ্রয় ও তাদের পুনর্বাসন করে তিনি “বিশ্ব মানবতার মা” খ্যাতি অর্জন করেছেন, জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে দেশে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে জমি সহ ঘর উপহার দিয়ে বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ইনশাল্লাহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকেও তিনি নিরাশ করবেন না।