জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এর সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, দেবহাটা থানার কোমরপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের স্ত্রী বৃদ্ধা ছকিনা খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার স্বামী মারা যাওয়ার সময় দুই স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে রখে যান। প্রথম স্ত্রীর এক ছেলে ও পাঁচ মেয়ে। দ্বিতীয় স্ত্রী অর্থাৎ আমার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। আমার দ্বিতীয় সন্তান জাকির হোসেন সমিতির টাকা তোলার নাম করে প্রথমে সখিপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে গত ১ জুন তারিখে ৬৭৯/২০২০ নং দলিলে ৯৯ শতক জমি লিখে নেয়। এরপর টাকা তুলতে পারেনি বলে ১ জুলাই তারিখে সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ৩৩৫৫/২০২০ নং দলিল মুলে ৪৫.২৫ শতক জমি লিখে নেয়। বিষয়টি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
তিনি আরো বলেন, আমার দ্বিতীয় পুত্র রোজিনা খাতুন পত্রিকায় প্রতিবাদ না দিয়ে গত ২০ আগস্ট সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে রোজিনা তার স্বামী জাকির হোসেনকে মানসিক রোগী পাগল হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া, জমি লিখে দেওয়ার শর্তে পাগল স্বামীকে বিয়ে করেছেন বলে যে কথা বলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এধরণের প্রতিশ্রুতি কখনোই ছিলো না।
এছাড়া, কেউ পাগল বা মানসিক রোগী হলে তার ক্ষেত্রে জমি অন্যকে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া বা নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে নেওয়া আইনগত অবৈধ। তিনি বলেন, দলিলে যাদের শনাক্তকারী করা হয়েছে তাদের একজনের বাড়ি শহরের মুনজিতপুরে। আরেকজনের বাড়ি কুলিয়ায়। দলিলে তাদের আইডি নম্বার উল্লেখ নেই। গ্রহীতা জাকিরের কোনো ছবি নেই। উভয় পক্ষের টিন সার্টিফিকেটও নেই।
ছকিনা খাতুন আরো বলেন, আমার দ্বিতীয় পুত্র পাগল নয় এমন যথেষ্ট প্রমান আমার কাছে রয়েছে। তিনি বলেন, জাকির ওয়ারেশকাম সার্টিফিকেটে ওয়ারেশদের নাম বাদ দিয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। এঘটনায় আমি দেবহাটা থানায় গত ৭জুলাই‘২০ তারিখে সাধারণ ডায়েরি করেছি। যার নম্বর ১৯৬।
তিনি বলেন, প্রতারণা করে জমি লিখে নেওয়ায় আমার অন্য সন্তানরা আমাকে ভুল বুঝেছে। আমি যদি জমি ফেরত না পাই তাহলে অন্য সন্তানরা আমাকে এই বৃদ্ধ বয়সে দেখবে না। আমাকে ভিক্ষা করে খেতে হবে। তিনি উক্ত দলিল বাতিল ও জমি ফেরত পাওয়ার দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে ছোট ছেলে সালাউদ্দীন ও কন্যা মারুফা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।