সবসময় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে আছি। প্লাবিত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে সবরকম সহায়তা প্রদান করা হবে। শুক্রবার বিকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলা সদরের দয়ারঘাট গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত রিং বাঁধ পরিদর্শন কালে এসব কোন বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন- সাগরে নিন্মচাপের প্রভাবে টানা বর্ষণে নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় আশাশুনি দয়ারঘাট গ্রামের রিং বাঁধটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বাঁধগুলোর বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে ও ধ্বসে যাচ্ছে। দয়ারঘাট, হাজরাখালী ও প্রতাপনগরের বাঁধগুলি টেঁকসই করে নির্মান করার দায়িত্ব পেয়েছেন আমাদের সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তবে শীত মৌসুম ছাড়া বাঁধগুলি মেরামত সম্ভব নয় বিধায় সে পর্যন্ত আমাদের এসব রিং বাঁধগুলি টিকিয়ে রাখতে হবে। আমি বিভাগীয় কমিশনার, পানি উন্নয়ন বোর্ড, এাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলেছি। তারা আমাদের সব ধরণের সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত রিং বাঁধ গুলি মেরামত করতে কোথায় কি লাগবে আপনাদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমাকে জানালে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা জনভোগান্তি লাঘবে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।
তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আশাশুনি ইউপি চেয়ারম্যানকে দয়ারঘাট রিং বাঁধটি যেকোন মূল্যে টিকিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। সেনাবাহিনীসহ কন্ট্রাক্টরের কাজ শুরু না করা পর্যন্ত বাঁধগুলি মেরামত করতে আমরা সকল প্রকার সহযোগিতা করে যাব বলে উপস্থিত ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বস্ত ও করেন তিনি।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা, ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী, ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন, আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ বাচ্চু, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সমীর রায়সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক শ্রীউলা ইউনিয়নের মহিষকুড় মৎস্যসেট এলাকায় গিয়ে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খোঁজ খবর নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তিনি সর্বদা সহায়তা ও তাদের পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
এদিকে শুক্রবারের জোয়ারেও আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট মাছের সেটে, আব্দুস সবুরের বাড়ীর সামনেসহ ৪টি স্থানে রিং বাঁধ ছাপিয়ে এবং ধ্বস নেমে ভেতরে পানি ঢুকতে শুরু করে। প্রতিকুল আবহাওয়ায় জোয়ারের তীব্রতা এত বেশি যে রিং বাঁধের প্রায় সর্বত্র ফাটল দেখা দিয়েছে। আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলনের নিয়োগ করা শ্রমিকরা এখানে কাজ করছেন।
আশাশুনি সদরের ইউপি চেয়ারম্যান বলেন- রিং বাঁধটি মেরামতের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছি। তারা দুটি সিফ্টে কাজ করছে। ডিসি নির্দেশে ও উপজেলা চেয়ারম্যানের পরামর্শে রিং বাঁধটি টিকিয়ে রাখতে আমরা সবোর্চ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে প্রতিকুল আবহাওয়ায় কিছুটা সমস্যা হলেও জনভোগান্তি কমাতে আমরা কাজ করে যাব। তিনি মুল বাঁধটির কাজ অতিদ্রুত যাতে শুরু হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।