সাতক্ষীরা জেলা যুবদলের নবগঠিত কমিটি প্রত্যাখান করেছেন জেলার ত্যাগী নির্যাতিত ও বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তারা এই কমিটি প্রত্যাখান করেছেন।
একই সাথে আহবায়ক কমিটি তৈরি করে সম্মেলনের মাধ্যমে পূণরায় জেলা কমিটি গঠনের আহবান জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে।
জেলার ত্যাগী নির্যাতিত ও বঞ্চিতদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, যুবদল নেতা আইনুল ইসলাম নান্টা। তিনি আরো বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথে মিছিল মিটিং করার সময় তিনিসহ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক তারিকুল হাসান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পদাক মাসুম বিল্লাহ শাহীন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এড কামরুজ্জামান ভুট্রো, জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল হাসান হাদী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মীর তাজুল ইসলাম রিপনসহ জেলার অনেক নেতা-কর্মী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যায়। কারাগারে থাকাকালীন জেলা যুবদলের আংশিক কমিটি করা হয়। এরপর জেল থেকে বের হয়ে জানতে পারি গত ২৩ জুলাই সাতক্ষীরা জেলা যুবদলের ১৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। কারাবরণকারীসহ জেলার অনেক ত্যাগী নেতা কর্মীকে বাদ দিয়ে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দীন টুকু স্বাক্ষরিত সাতক্ষীরা জেলা যুবদলের এই নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা দেখে বঞ্চিতদের চক্ষু চড়ক গাছ।
তিনি বলেন, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কমিটিতে রাখা হয়েছে প্রবাসী ও আওয়ামী ঘরোনার লোকজনদের। ইতোমধ্যে নতুন কমিটির সাভাপতি- সাধারণ সম্পাদক আর্থিক সুবিধার মাধ্যমে উপজেলা কমিটি গঠন করতে চাঁদাবাজী শুরু করেছে। ত্যাগী নেতা-কর্মীদের টাকার জন্য চাপ দিয়ে বলছে, টাকা না দিলে কমিটিতে ঠাই হবে না।
সাতক্ষীরা জেলা যুবদলের নবগঠিত কমিটি অগণতান্ত্রিক, অঠনতান্ত্রিক ও অবৈধ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই কমিটি বাতিল করে যুবদল কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের স্বেচ্ছাচারিতা ও দূর্ণীতিমুক্ত পরিবেশে গণতান্ত্রিক পন্থায় গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা যুবদলের কমিটি গঠন করা হোক। তিনি আরো বলেন, বঞ্চিত, ত্যাগী নেতাকর্মীদের এই দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। পরবর্তীতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী গহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সদর থানা যুবদলের আহবায়ক শাহিনুর রহমান শাহিন, যুগ্ম আহবায়ক জিয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক আলিমুজ্জামান আলিম, পৌর যুবদলের আহবায়ক ফরিদউজ্জামান ফরিদ, যুগ্ম আহবায়ক কামরুজ্জামান, আশাশুনি উপজেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন বাবু, সাধারণ সম্পাদক খালিদুজ্জামান টিপু, দরগাহপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শেখ ইয়াদ আলীসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।