গোপালগঞ্জে বিজ্ঞ আদালতে মামলা (চলমান) নিষ্পত্তি না হওয়ার আগেই প্রভাবশালীদের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার (০৮ আগস্ট) বেলা আনুমানিক ১১টার সময় অর্থ ও পেশীশক্তির প্রভাব বিস্তার করে মহামান্য আদালতের রায় প্রদানের আগেই গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নের চাড়ঘাটা এলাকায় করোনাকালীন সময় প্রায় ২/৩ শত ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে ভুড়িভোজের আয়োজনের মধ্যে দিয়ে রাসেল মোল্লা, সাং -পাথালিয়া-গোপালগঞ্জ। সে আসমা রহমান ও নাসির মোল্লা, সাং -গোবরা, গোপালগঞ্জ-এর নিকট থেকে পাওয়ার নিয়ে গোবরা ইউনিয়নের প্রভাবশালী মিকাইল চৌধুরী ও ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে গোবরা ইউনিয়নের আইয়ুব আলী, লায়েব আলী গংদের ৩০ বছর আগের ক্রয়কৃত এবং ভোগ দখল করা আবাদী জমির পাটক্ষেত ও ঘর উচ্ছেদের মাধ্যমে জমি দখলের পায়তাড়া চালায়।
এ ব্যাপারে নিরুপায় হয়ে গণমাধ্যমকে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্য রাবেয়া খানম জানান, এ সংক্রান্তে বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আদালত, গোপালগঞ্জে ৮৯৮/২০১৯ রেকর্ড সংশোধনী এবং বিজ্ঞ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, গোপালগঞ্জে ১৪৫/২০২০ বাটোয়ারা মামলা চলমান রয়েছে। আদালতে মামলা থাকা অবস্থায় কি করে জায়গা মাপের পায়তাড়া চালায় বলে আক্ষেপ করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। পরে নিরুপায় হয়ে নিরীহ ভুক্তভোগী আইয়ুব আলী গং ও তাঁর স্ত্রী প্রথমে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে বিষয়টি জানান, সেখান থেকে আইনী কোন সহযোগিতা না পেয়ে পরে পুলিশ সুপারের কাছে যান। পুলিশ সুপার সে মুহূর্তে ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত থাকায় গোপালগঞ্জ সদর সার্কেল সাহেব কে বিষয়টি জানালে, তিনি ভুক্তভোগীদের আদালতে মামলা করার জন্য পরামর্শ দেন। আদালতে চলমান মামলার রায় না হওয়ার পূর্বে করোনাকালীন সময়ে এ রকম একটা কাজ স্হানীয় জন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে হওয়ায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলেও দাবি অসহায় ওই পরিবারের। সম্প্রতি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই গোবরা ইউনিয়নে দু-দুটো খুনের ঘটনাও ঘটেছে বলে ভুক্তভোগীর পরিবার প্রতিপক্ষের দ্বারা ক্ষতির আশংকা করে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রাসেল মোল্লা, মিকাইল চৌধুরী ও কামরুল মেম্বারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তারা বলেন আমরা ৩১শতাংশ জমি পাবো। আমরা আমাদের পাওনা জমি কড়ায়-গণ্ডায় বুঝে নিবো। আপনারা কি আইয়ুব আলী গংদের নিকট থেকে কোন পাওয়ার নিয়েছেন, পাওয়ার নিয়েছেন তো নাসির মোল্লা ও আসমা রহমানের নিকট থেকে। দেরলে এদের জমি কেন দখল করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন, এমন প্রশ্ন করলে তারা বলেন, আপনারা আসেন, বসেন, আমাদের কাগজপত্র দেখেন। একথা বলে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীর পরিবার।