সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কৈখালীতে হোমিও চিকিৎসকের দীর্ঘ ২১ বছরের দখলীয় সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে আগুন, ভাংচুর, মারপিট ও মিথ্যে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগরের পশ্চিম কৈখালী গ্রামের মোঃ আহসান আলী মল্লিকের ছেলে হোমিও চিকিৎসক মোঃ আশরাফুল মল্লিক।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কৈখালী মৌজায় জয়াখালী এলাকায় জে.এল. নং-৭৫, এস.এ ১/১০৪৩ নং খতিয়ানের ৭৮৫ দাগ, ডি.পি-২৭৪৮ নং খতিয়ানের ৪৭৭৬ দাগে ৭ শতক জমি ২০০৭ সালে ও ২০০০ সালে আরো ১ শতক মিলে মোট ৮ শতক জমি ক্রয় করে সেখানে ফিরোজ হোমিও ফার্মেসী নামে চেম্বার নির্মাণ করে শান্তিপূর্নভাবে দীর্ঘ ২১ বছর ভোগদখলে থেকে এলাকার আসহায় গরীব রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি জয়াখালী এলাকার কাদের মোড়লের ছেলে মোকাররম হোসেন মোকা, মৃত. শাকাত মোল্লার ছেলে আলমগীর মোল্লা, কেরামত আলী গাজীর ছেলে নুরুজ্জামান জামু, মজিদ কাগুজীর ছেলে মোহাম্মাদ আলী কাগুজী, সামছুর সরদারের ছেলে আল আমিন হোসেন, নুরে গাজীর ছেলে আবুল কালাম গাজীগং উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চক্রান্ত শুরু করে। গত ২৬ জুন উল্লেখিতরা আমার চেম্বাওে ঢুকে আমার ও আমার ছেলে এবং ভাইদের মারপিট করে গুরুতর আহত করে এবং চেম্বারে থাকা বিভিন্ন মালামালসহ প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করি।
আশরাফুল মল্লিক অভিযোগ করে বলেন, মামলা করায় উল্লেখিত ক্ষিপ্ত হয়ে ২৮ জুন রাতে আমার চেম্বারে আবারো হামলা চালায়। সে সময় চেম্বারে থাকা আলীপুর এলাকার ঠিকাদার সিদ্দিক ঢালীসহ তার শ্রমিকদের মার্কেট তৈরির বিভিন্ন মালামালসহ আনুমানিক ২৫ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে। এঘটনায় আলীপুর এলাকার সিদ্দিক ঢালী বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে তাদেও বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মোকাররম হোসেন গংরা গত ২৬ আগষ্ট আমার চেম্বারে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় চেম্বারের থাকা আমার ভগ্নিপতি রুহুল আমীন কোন রকমে প্রাণে রক্ষা পেলেও চেম্বারে থাকা জরুরী কাগজপত্র, সরঞ্জাম, ঔষধপত্র সহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে যায়। অথচ উক্ত ঘটনাকে পুঁজি করে উল্লেখিত ব্যক্তিরা সাংবাদিকদের মিথ্যে তথ্য দিয়ে একটি কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, উক্ত সম্পত্তির ঘটনায় শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিলে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তিনি আমার পক্ষে প্রতিবেদন দেন। এছাড়া সাতক্ষীরা জজকোর্টের আইনজীবী আলাউদ্দীন কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আইনগত মতামত প্রদান করেন। এরপরও উল্লেখিত মোকাররমগং এর ভাড়াটিয়া বাহিনী আমাকে প্রকাশ্যে খুন জখমসহ বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে আমি চেম্বারে যেতেও পারছি না। এছাড়া আমার সন্তানদেরও হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে আমাদেরকে দিশেহারা করে তুলেছে। তিনি একজন গ্রাম্য হোমিও চিকিৎসক হিসেবে উল্লেখিত অবৈধদখলদার মোকাররম গংয়ের কবল থেকে তার দীর্ঘদিনের দখলীয় সম্পত্তি রক্ষা এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।