সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভাধীন মুরারীকাটি, কুমারনল ও কাশিয়াডাঙা গ্রামরের আড়াই হাজার বিঘা জমির জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে পঁচাধান নিয়ে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগী প্রাম্ভিক চাষীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে ঘণ্টাব্যাপি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্যে রাখেন, কলারোয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, মুরারীকাটি সেচ কমিটির সভাপতি আরিজুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, নুর ইসলাম, রত্না খাতুন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিগত ২১ বছর যাবত মুরারীকাটি বিলে জলাবদ্ধতা থাকায় তাদের অর্ধহারে-অনাহারে দিন কাটাতে হয়। এ পরিস্থিতিতে তিন গ্রামের সমম্বয়ে ধান চাষের জন্য একটি সেচ কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির মাধ্যমে বিদ্যুতের শক্তিশালী মিটার ও পাম্প স্থাপন করে কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করে পানি নিস্কাশন করে ধান চাষের উপযোগী করা হয়। চলতি মৌসুমে প্রায় দু’ হাজার কৃষক আড়াই হাজার বিঘা জমিতে ধান চাষ করে। ধান গাছ ফুলও ধরছিল।
তারা আরো জানান, বিলটি দীর্ঘকাল জলাবদ্ধ থাকায় কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু জবর দখল করে একটি মৎস্য ঘের করে। সেচের কারণে তার ঘেরের পানি শুকিয়ে যায়। সম্প্রতি বর্ষার কারণে পানি জমে ধানের ক্ষতি হতে পারে ভেবে উজানের একটি কালভার্টের মুখ আটকিয়ে দেওয়া হয় এবং পাশ্ববর্তী সরকারি চাঁন মল্লিকের খাল দিয়ে পানি বৈত্রবতী নদীতে নামানোর জন্য একটি শক্তিশালী পাম্পের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান লাল্টু তার মাছের ঘেরে পানি ঢোকানোর জন্য গত ২৮ জুলাই খালের মুখ বন্ধ করে কালভাটের মুখটি খুলে দিলে আড়াই হাজার বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে সকল ধান পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে তারা জেলা প্রশাসকের সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও চাঁন মল্লিকের খাল ও বৈত্রাবতী নদী খননের দাবি জানান।
পরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বরাবরে এক স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদুর রহমান কৃষকদের এ ধরনের ক্ষতিতে দু:খ প্রকাশ করে বলন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক অবগত হয়েছেন। তদন্ত কমিটি করে সরজমিনে জলাবদ্ধ মুরারীকাটি বিলপরিদর্শন করে সুষ্ঠ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদেরষকদর আশ্বস্ত করেন।