সাতক্ষীরা সদরের ব্রহ্মরাজপুরে রেকর্ডীয় সম্পত্তির প্রাচীরের গা ঘেষে গভীর করে ড্রেন তৈরির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে করেন সাতক্ষীরা সদরের ব্রক্ষরাজপুর গ্রামের মৃত. মোঃ আহম্মদ আলী সরদার এর ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান।
এসময় লিখিত বক্তব্যে পাঠ করে তিনি বলেন, ব্রহ্মরাজপুর মৌজার এস.এ খতিয়ান নং- ১৪৭৩, জমির পরিমাণ- ৪৫ শতকের মধ্যে পশ্চিম অংশে রাস্তার পাশ্বের পাকা প্রাচীরযুক্ত বসতভীটা নির্মাণ করে দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত বসবাস করে আসছি। সম্প্রতি ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না সম্পূর্ণ গায়ের জোরে খাস জমির উপর দিয়ে ড্রেন না কেটে আমার রেকর্ডীয় সম্পত্তির উপর প্রাচীরের গাঁ ঘেসে রাস্তার পশ্চিম পাশ্বের গভীর করে গর্ত খুড়ে ড্রেন তৈরি করেছে। গভীরভাবে ড্রেন করায় আমার প্রাচীরটির মাটি ধ্বসে ভেঙ্গে পড়বে। ইতোমধ্যে পানির স্রোতে অনেকটা ধ্বস নেমেও গেছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ড্রেনটি মাটি দিয়ে বন্ধ না করলে আমার প্রাচীরটি সর্ম্পূণ বিনষ্ট হয়ে যাবে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর উক্ত কার্যকলাপে আমি পূর্বে জানতে পেরে আমার কোনরূপ ক্ষতি করতে না পারে এই জন্য আমি তার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পিটিশন কেস ৮৭৯/১৯ ও সদর সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী ১৫৪/১৯ নং কেস দাখিল করি। কিন্তু লকডাউনের কারণে আদালত বন্ধ থাকায় এ সুযোগে এলাকার কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় পানি নিষ্কাশনের নামে ড্রেন করেছে। যার কারণে আমি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। এছাড়াও আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন সক্রিয় সদস্য। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সদস্য নং ৫৭২৪৫৭। এদিকে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম জেলা বিএনপির নেতা।
একারণে তিনি আমার উপর এ অবিচার করছেন। আমার অপরাধ আমি তার দল করি না। যে কারণে রাস্তার পাশ্বের খাস জায়গা থাকার সত্ত্বেও শুধু মাত্র আমাকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য মাটি কেটে ড্রেনটি করেছে। পাশ্বের রাস্তার খাস জমিগুলো বিএনপির লোকজন ভোগদখল করলেও সেখানে তিনি যাবেন না। অবৈধভাবে আমার সম্পত্তির উপর জোরপূর্বক ড্রেন করায় উক্ত ড্রেনটি বন্ধের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।