সাতক্ষীরায় আইনশৃখংলা বাহিনীর তেমন কোন তৎপরতা না থাকায় চলমান কঠোর লকডাউন যতই দিন পার হচ্ছে ততই সড়ক ও হাট বাজার গুলোতে বাড়ছে জনসমাগম। মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি। আংশিক খোলা রেখে বেচাকেনা করা হচ্ছে শহরের অধিকাংশ দোকান পাট। সড়কে জরুরি পন্যবাহী পরিবহনের পাশাপাশি বেড়েছে ছোট ছোট যান চলাচল। খোলা রয়েছে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার গণপরিবহন।
এদিকে, চলমান লকডাউন ও ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতির মধ্যেও চলছে ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। সেখানে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপার অবাধে চলাচলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হলেও তারা তা মানছেননা। সীমান্ত এলাকায় তারা অবাধে যাতায়াত করছেন। এর ফলে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট সংক্রমনের আশংকা বাড়ছে সীমান্ত এলাকায় বলে মনে করেন সচেতন মহল।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, লকডাউনের বিধি নিষেধ ভঙ্গ করায় জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ টি ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৩৬ টি মামলায় ১৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রের নেতৃত্ব ২২টি ভ্রাম্যমান আদালত, সেনাবাহিনীর ১০ টি পেট্রোল টিম, তিন প্লাটুন বিজিবি ও পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও আনসার ব্যাটলিয়ন মোতায়ন রয়েছে। তিনি এ সময় জেলার সর্বসাধারণকে সরকারের দেয়া লকডাউনের বিধি নিষেধ মেনে চলার আহবান জানান।