সাতক্ষীরায় চলমান লকডাউনের মধ্যেও করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর মিছিল ভারী উঠেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন ও উপসর্গ নিয়ে ৮ জন মারা গেছেন। এনিয়ে, জেলায় এ পর্যন্ত ভাইরাসটিত আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৬২ জন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন অন্ততঃ ২৮২ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা শেষে ৮৬ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যার শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এদিকে, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৯২ জন করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ৪১ জন পজেটিভ রুগী ও বাকীরা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ৭৮৬ জন। জেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯৯০ জন। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালকে সর্বসাধারণের জন্য চিকিৎসার ঘোষণা দেওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে।
অপরদিকে, চলমান লকডাউনের তৃতীয় সপ্তাহের চতুর্থ দিনেও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই সাধারন মানুষের মাঝে। লকডাউনের মধ্যে শহর ও গ্রাম অঞ্চলের হাট বাজার গুলোত মানুষের ভিড় লক্ষনীয়। তাই লকডাউন সর্বাত্মক করতে পুলিশ মোড়ে মোড়ে চেক পোষ্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্রন করছে। এরেই মধ্যে শহর ও গ্রাম অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ নানা উপসর্গ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, সাধারন মানুষ কিছুতেই স্বাস্থ্য বিধি মানছেননা। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন আরো জোরদার করতে হবে। তিনি এ সময় সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।