করোনা সংক্রমন ঠেকাতে সাতক্ষীরা সীমান্ত জুড়ে চলছে বিজিবির কঠোর নজরদারী। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সাতক্ষীরার চারটি সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশের সময় এক মানবপাচারকারীসহ সাত বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। সদর উপজেলার ভোমরা, তলুইগাছা, কুশখালী ও কলারোয়া উপজলার হিজলদী সীমান্ত থেকে তাদের আটক করা হয়। এনিয়ে গত এক সপ্তাহে ভারত থেকে অবৈধ পথে দেশে ফিরে আসা দুই মানবপাচারকারীসহ ৩৩ নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি।
এদিকে, প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে মানুষ বাংলাদেশ প্রবেশ করায় করোনার ভ্যারিয়েন্ট আতংক বাড়ছে সাধারন মানুষের মধ্যে।
আটককৃতরা হলেন, কলারোয়া উপজেলার ভাদিয়ালী গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে মানবপাচারকারী হাসানুর রহমান (২৩), নারায়নগঞ্জ জেলার সাতগ্রামের মৃত মুসলিম খানের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (২২), শরীয়তপুর জেলার চরগাজীপুর গ্রামের সাত্তার মাতবরের স্ত্রী জেসমিন (২৬), সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সিরাজপুর গ্রামের ওয়াজেদ গাজীর ছেলে আলীম গাজী (২০), যশোর জেলার কেশবপুর থানার সিকারপুর গ্রামের আজিজ সরদারের ছেলে আসাদ সরদার (৪৫), কলারোয়া উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের শাহজান মন্ডলের ছেলে আলম হোসেন (৪৫) ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পদ্মশাখরা গ্রামের মৃত শহিদ সরদারের ছেলে রবিউল ইসলাম (২২)।
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মাহমুদ জানান, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমন অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় উক্ত ভাইরাস বাংলাদেশে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরার ভোমরা, গাজীপুর, কুশখালী, কালিয়ানী, মাদরা, কাকডাঙ্গা ও তলুইগাছা এলাকাগুলো স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নত করা হয়েছে। একই সাথে সীমান্তে কঠোর নজরদারীতে জারী করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, শুক্রবার রাতে ভোমরা, তলুইগাছা, কুশখালী ও হিজলদী সীমান্ত থেকে অবৈধভাবে ভারত হতে দেশে প্রবেশের সময় এক মানবপাচারকারীসহ সাত বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সদর উপজেলার পদ্মশাখরা, কুশখালী ও কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়ীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে থানায় সোপর্দ করা হবে।