সাতক্ষীরা উপকূলের জানমালের সুরক্ষায় অবিলম্বে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয়রা। শুক্রবার সকাল ১০টায় শ্যামনগর উপজেলার পাতাখালি পয়েন্টে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধের ওপর এই অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় স্থানীয়রা ‘আমরা ভাসতে চাই না, বাঁচতে চাই’, ‘একবারেই মরবো, বারবার নয়’, ‘জলবায়ু তহবিল কাদের জন্য ? জবাব চাই’, ‘উপকূলের কান্না, শুনতে কি পান না’, ‘নিরাপদ বাঁচা, নয় কি আমার অধিকার’, ‘বাস্তভিটা ছেড়ে, ভাসানচরে যাবো না’ প্রভতি স্লোগান দিতে থাকে।
এসময় প্রতীকী লাশ হয়ে প্রতিবাদ জানান উপকূলের বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ, ইয়াসির আরাফাত, সালাউদ্দিন, মাহি ও সালাউদ্দিন জাফরী।
উপকূলের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ম্যানগ্রোভ স্টুডেন্ট সোসাইটি আয়োজিত এই অবস্থান কর্মসূচিতে সংগঠনের সভাপতি আরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহিন বিল্লাহ, তরিকুল ইসলাম, মুহতারাম বিল্লাহ, মুতাসিম বিল্লাহ, হাসানুল বানা প্রমূখ বক্তব্যে রাখেন।
বক্তারা বলেন, বিগত ১২ বছর ধর উপকূলের মানুষ ভাসছে। প্রতিবারেই এমন পরিস্থিতিতিতে কর্তা ব্যক্তিরা শুধু আশ্বাসের বুলি আওড়ান। নানান ধরনের মেগা প্রকল্পের গল্পো শোনান। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখনো পর্যন্ত কোন কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উপকূলের মানুষকে বাঁচাতে টেকসই বেড়িবাঁধের বিকল্প নেই। বক্তারা আরও বলেন, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে ব্যর্থ হলে সাতক্ষীরা উপকূলীয় অঞ্চলকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন। আমরা বারবার নয়, একবারেই মরতে চাই।
প্রসঙ্গত, সিডর, আইলা, ফনী, বুলবুল, আম্পান ও সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব সৃষ্টি জলোছ্বাস নদীর জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে শতাধিক গ্রাম। ভেসে গেছে হাজার হাজার হেক্টর জমির মৎস্য ঘর। বিধস্ত হয়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি। ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।