রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
তালা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস আটক সাতক্ষীরা-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুর রউফের গণসংযোগ গোপালগঞ্জ জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত আশাশুনিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান জীবনের স্বার্থকতা একটাই, সেটি হলো কতটুকু দায়িত্ব পালন করে বিদায় নেয়া গেল-সাতক্ষীরায় প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জেলা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওয়ারেছ ওমরাহ পালনের জন্য দোয়া চেয়েছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্য আমিনুর রশীদের আমেরিকা গমন উপলক্ষে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান তালা প্রেসক্লাবের মাসিক বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে বিভেদ ভুলে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টিতে বিএনপি নেতাদের ঐক্যের আহ্বান

এমন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ চাই না

শেখ শাকিল হোসেন
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৪ মে, ২০২১
  • ৩১০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশের উত্থানে যে প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে সেটি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’। বায়ান্ন ’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয়দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ঊননব্বই এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, সবখানে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার জৌলুশ দেখিয়েছে। বলা হয়ে থাকে, এটি পৃথিবীর একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেটি একটি স্বাধীন দেশের জন্ম দিয়েছে। অন্যায়-অবিচারের প্রশ্নে যে প্রতিষ্ঠানটি কোনদিন আপোষ করেনি, আজ সেই প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ।
বিগত ৯ দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান।
ঈদের পরের দিন শনিবার সকালে হাফিজুর রহমান তার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেদিন সন্ধ্যায় মা তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেছেন। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যথারীতি থানায় অভিযোগও করা হয়।

নিখোঁজের ৯ দিনের মাথায় গতকাল (২৩ মে) হাফিজুর রহমানের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। ঈদের পরের দিন (১৫ মে) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে পুলিশ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এতগুলো দিন তার লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচয়ে হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। হাফিজুর রহমানের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়টা বাদ দিলাম। হত্যা নাকি আত্মহত্যা- সেই বিতর্কও বাদ দিলাম। তবুও, বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ এ ঘটনার দায় কিভাবে এড়াতে পারে? বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস থেকেই নিখোঁজ হয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকাতেই তার মৃতদেহ পাওয়া গেল। আর সেটা যে হাফিজুর রহমানের লাশ, এটা শনাক্ত করতে ৯ দিন চলে গেল! বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আদৌও এই ঘটনাটা জানতো? ওয়াকিবহাল থাকাটা প্রশাসনের দায়িত্বের ভেতরেই পড়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দিনদিন শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ ছাত্রদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাওয়া শিক্ষার্থীর লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচয়ে দিনের পর দিন মর্গে থাকছে। অথচ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চুপ। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ। আমরা এমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই না।

লেখক: শেখ শাকিল হোসেন, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020 All rights reserved
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!