গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নে ক্যাবল ব্যবসায়ীর সাড়ে ৪ কিলোমিটার ক্যাবল কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাচ্চু শরীফের ভাই ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পলাশ শরীফের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। ওই ক্যাবল কাঁটার ফলে নেট সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন প্রায় সহস্রাধিক পরিবার।
বুধবার বেলা সাড়ে ১০ টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের শরীফ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বোয়ালীয়া গ্রামের ক্যাবল ব্যবসায়ী সজিব মোল্লা বলেন, যুবলীগের সভাপতি পলাশ শরীফ ওই এলাকায় রামদিয়া ক্যাবল নেটওয়ার্ক -এর স্বত্বাধিকারী শফিক মোল্লার নিকট থেকে সংযোগ এনে (ডিস ও নেট) দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা করে আসছে। পরে পলাশের নিকট থেকে এই এলাকায় আমি সহ কিবরিয়া মিয়া, লিমন শরীফ, মো.আমিনুর রহমান, সজিব মোল্লা, বাচ্চু কাজী, বিল্লাল সিকদারকে নিয়ে গ্রাহকদেরকে নেট ও ডিস সেবা দিয়ে আসছি। গত জানুয়ারিতে ডিজিটালাইজেশন করার জন্য আমাদের এই ৬ জনের কাছ থেকে পলাশ শরীফ ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন। টাকা নেয়ার পর পলাশ ডিজিটাল না করায়, বেশ কিছু দিন গ্রাহকেরা মাসিক বিলের টাকা পরিশোধ করতে অপারগতা জানায়। এরপর থেকে আমরা পলাশের সাথে এই ৬ জন ব্যবসা করবো না বলে জানাই এবং আমরা সরাসরি রামদিয়া ক্যাবলের সাথে ব্যবসা শুরু করি। এরপর থেকে পলাশ আমাদের ৬ জনকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। আজ প্রকাশ্যে এসে আমাদের সাড়ে ৪ কিলোমিটার ক্যাবল কেটে নিয়ে গেছে।
ক্যাবল ব্যবসায়ী কিবরিয়া বলেন, আমি পলাশ শরীফকে ২ লাখ টাকা দিয়েছি, টাকা চাইতে গেলে উল্টা সে আমাকে হুমকি দেয়। এছাড়া আমাদের বলে তোরা কিভাবে এই এলাকায় শান্তিতে ব্যবসা করিস, তাও আমি দেখে নেব। আজ সকালে সে উপস্থিত থেকে লোকজন নিয়ে এসে আমাদের অনুপস্থিতিতে এই ক্যাবল কেটে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষনিকভাবে গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আবু নাঈমকে বিষয়টি জানাই, তিনি ঘটনা স্থলে এসে দেখেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোপীনাথপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পলাশ শরীফ বলেন, আমি আমার ক্যাবল এনেছি। আর জামানাত হিসেবে কাজী বাচ্চু নামের একজনের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিলাম। এছাড়া কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি। আমি তাদের সাথে এখন ব্যবসা করি না। তাই তারা আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলছে। আমি কোন ব্যক্তিকে হুমকি দেইনি।
এ বিষয়ে গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরির্দশক মো.আবু নাঈম বলেন, আমাকে মোবাইল ফোনে বলেছে তাদের ক্যাবল কেটে নিয়ে যাচ্ছে। খবর পেয়ে আমি গিয়ে পলাশ শরীফের কাছে জানতে চাইলে সে বলে আমার ক্যাবল আমি নিয়ে যাচ্ছি। পরে অভিযোগকারীরা গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আভিযোগ দিতে আসলে আমি তাদেরকে গোপালগঞ্জ সদর থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।