সাতক্ষীরার এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজের বহিস্কৃত অধ্যক্ষ শিক্ষাদস্যু আখতারুজ্জামান কর্তৃক প্রাণনাশের হুমকি, তার বাহিনী দ্বারা কলেজে অযোচিত হামলা এবং বিভিন্ন দপ্তরে স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া পদত্যাগপত্র প্রদানের জন্য তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সরদার রমেশ চন্দ্র।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৪/০২/২০২০ইং তারিখে সাতক্ষীরা সদরের বিনেরপোতাস্থ অধ্যক্ষ এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভায় আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। দায়িত্ব প্রদানের পর থেকে সকল শিক্ষক কর্মচারী ও পরিচালনা পর্ষদের সহযোগিতায় কলেজের শিক্ষার মান উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। কলেজের দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানেরও চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্নাতক স্তরের শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানি করছেন বহিস্কৃত অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামান। তারা আজ মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের স্নাতক কোডের ব্যাপারে কোন আবেদন পর্যন্ত করা হয়নি। অথচ এমপিও ভূক্তির নামে তাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বহিস্কৃত অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামান। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর স্নাতক কোর্ডের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করি। মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় তারা ২২টা পরিবার আজ আশার আলো দেখছেন। তিনি আরো বলেন, আমি বাংলাদেশের একটি সংখ্যালঘু পরিবারের সন্তান হওয়ায় বহিস্কৃত আখতারুজ্জামান আমাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। বাড়িতে বহিরাগত সস্ত্রাসী দিয়ে আমাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। সর্বশেষ আমাকে পদত্যাগরেও হুমকি দেয়া হয়েছে এবং আমার স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া পদত্যাগপত্র দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। যা একটি পরিপূর্ণ জালিয়াতি। এই জালিয়াতির শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। এই জালিয়াতির জন্য ইতিমধ্যে আমি সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগও দিয়েছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি (সরদার রমেশ) এ সময় তার জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনাসহ এবং জালিয়াতি শিক্ষাদস্যু আক্তারুজ্জামানের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজের সহ অধ্যাপক পাল শুভাশীষ, মুনীর আহমেদ খান, কমলেশ চন্দ্র, মহিদুল ইসলাম, আমিনুল আলম, প্রভাষক হুমায়ন কবির প্রমুখ।