করোনা পরিস্থিতিতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট ঘোষিত আদালতে ভার্চুয়াল পদ্ধতির শর্ত অমান্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে সংবাদ সস্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুর দেড়টায় সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নিজস্ব চেম্বারে এ সংবাদ সস্মেলন করেন আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এম শাহ আলম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করে অ্যাড. এম শাহ আলম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালত পরিচালনা করার জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট গত ১১ এপ্রিল একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিটি জেলা ও দায়রা জজ, প্রতিটি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিচার বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়। সে অনুযায়ি ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
অ্যাড. এম শাহ আলম বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিশষ বিজ্ঞপ্তিতে “বিশেষ প্রাকটিস নির্দেশনা” সম্পর্কিত ১০ নং কলামে উল্লেখ রয়েছে যে জনগনের ন্যয় বিচার প্রাপ্তির লক্ষ্য ভার্চুয়াল পদ্ধতি চালু হওয়ায় আদালতের উক্ত কার্যক্রমের সাথে সংশিষ্ট প্রত্যককে যথাযথ দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। আদালতের ভাবমুর্তির প্রতি লক্ষ্য রেখে ভার্চুয়াল পদ্ধতির কোন অংশ রেকর্ড বা প্রচার করা হলে তা সংশিষ্ট ব্যক্তির দায়িত্ব পালন অবহেলা বলে গণ্য করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। অথচ গত ২৬ এপ্রিল জেলা দায়রা ও জজ আদালত একটি ধর্ষণ মামলার জামিন শুনানীকালে আসামীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে তার (শাহ আলম) উপস্থাপিতে বক্তব্যেকে ঘিরে তার ল’ চেম্বার হামলা চালান জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ ও তার সহযোগীরা। ভার্চুয়াল পদ্ধতির বক্তব্যে ব্যবহার করে পরদিন তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা করেন অ্যাড. আব্দুল লতিফ। যাহা সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ভঙ্গ করার শামিল।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয় আইনজীবী সমিতির সভাপতির পদে তার বিরুদ্ধে নির্বাচন করে পরাজিত হন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর জাল করে মাদক মামলার জামিনের কাগজ প্রস্ততকারি, হত্যা মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়ার নামে নয় লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণসহ বিভিন্ন অনিয়মের হোতা অ্যাড. আব্দুল লতিফ। এতে ক্ষুব্দ হয়ে অ্যাড. আব্দুল লতিফ তার (শাহ আলম) বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়াসহ তার সুনাম নষ্ট করে চলেছেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অ্যাড. আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. ইউনুস আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ওসমান গণি, অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন তাজাম, জ্যেষ্ট আইনজীবী অ্যাড. আজাহার হোসেন, সাবেক পিপি অ্যাড. তপন কুমার দাস প্রমুখ।
এ ব্যপারে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ সোমবার বিকালে তার বিরুদ্ধে আনীত অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি লংঘন করেননি। তার বিরুদ্ধে কটুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন।