মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
টেণ্ডার ছাড়াই রাতের আঁধারে বালু বিক্রি, ঝুৃঁকিতে সাতক্ষীরার সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলের সরকারি সম্পদ শ্যামনগরে গ্রামীণ নারীদের ১৫ দিনব্যাপী দর্জি প্রশিক্ষণ শুরু সাতক্ষীরা জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মীর আজহার আলী শাহিন’র মৃত্যুতে সাবেক এমপি রবি’র শোক সাতক্ষীরা জেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত  সাতক্ষীরা জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত  প্রেতাত্মা ও আলো!! কবি তানভীর আহমেদ  শ্যামনগরে দুই সংসদ সদস্য সাফজয়ী নারী ফুটবলার সাথী মুন্ডার সম্বর্ধনা  দেবহাটায় ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে ৪ বার গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগ! গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে সন্তান রফিকুল ইসলাম মিটু সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন

সাতক্ষীরায় নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যু: মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে কাঁদলেন বাবা মা

শেখ আরিফুল ইসলাম আশা, নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৫২ বার পড়া হয়েছে

‘প্রথম স্ত্রীকে বাড়ি আনতে হলে পথের কাঁটা আমার মেয়েকে সরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে মুম্বাই থেকে প্রথম স্ত্রী আসমা খাতুন ফিরে আসবে না’। কান্নাজড়িত কণ্ঠে একথা জানিয়ে নিহত গৃহবধূ শম্পা খাতুনের বাবা দিনমজুর বাবলু সরদার ও তার মা হালিমা খাতুন বলেন, ‘৬ বছর আগে বিয়ের পর থেকে আমাদের মেয়েটিকে নানাভাবে নির্যাতন করতো জামাতা হবিবর রহমান।

আমরা কিছু টাকাপয়সা দিয়ে জামাতার মন রক্ষার চেষ্টাও করতাম। কিন্তু পারিনি। শেষ পর্যন্ত গত ১৮ এপ্রিল রাতে আমাদের মেয়ে শম্পাকে শ্বাসরোধ করে ও পিটিয়ে হত্যা করে। পরে তার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে প্রচার করে শম্পা আত্মহত্যা করেছে’।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ইন্দিরা গ্রামের এই ঘটনা বর্ননা করতে গিয়ে একই উপজেলার রাজনগর গ্রামের বাবা বাবলু সরদার বলেন, জামাই হবিবর একজন নেশাখোর। সে মাদক কারবার করে। আর ঘরে এসে আমার মেয়েটাকে মারধর করে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মেয়েটি প্রায়ই আমার বাড়ি চলে আসতো। পরে আবারও তার ৪ বছরের সন্তান সহ ফিরে যেতো। কিন্তু সেদিনের যাওয়াই তার শেষ যাওয়া। তিনি বলেন, হবিবরের প্রথম স্ত্রী আসমা খাতুন মুম্বাইয়ে থাকে। এটা না জেনেই আমি তার সাথে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম। এখন জানতে পারছি। আসমা খাতুন দেশে ফিরে আসবেন। তাই ‘পথের কাঁটা’ আমার মেয়ে শম্পা বেগমকে সরিয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, মেয়েটির গলায় ছিল ফোলা দাগ। কপালে ছিল আঘাতের চিহ্ন। আমি সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দিয়েছি। আমি মূর্খ মানুষ। পুলিশ কি লিখে নিয়েছে আমি জানি না। এখন পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আসামী হবিবর সহ কাউকে ধরা যাবে না। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। এই হত্যায় জড়িতদের ফাঁসি চাই।

রোববার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবা বাবলু সরদার, মা হালিমা ও মেয়ে সুমী খাতুন একথা জানান সাংবাদিকদের।

জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বোরহান উদ্দিন বলেন, শম্পার মৃত্যুর বিষয়ে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। হত্যার ঘটনা হয়ে থাকলে অবশ্যই আমরা আসামীকে ধরে আনবো এবং আইনে সোপর্দ করবো।

সংবাদ টি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:২২ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০২ অপরাহ্ণ
  • ১৬:৩০ অপরাহ্ণ
  • ১৮:২৪ অপরাহ্ণ
  • ১৯:৪০ অপরাহ্ণ
  • ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ
©2020 All rights reserved
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!