সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ইউপি সদস্য কর্তৃক প্রভাবখাটিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে মারপিট ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার কুলতলি গ্রামের ভোলানাথ মন্ডলের পুত্র প্রভাষ চন্দ্র মন্ডল।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, বিগত ১৯৮৮ সালে শ্যামনগরের সদেব অধিকারীর পুত্র কৃষ্ণপদ অধিকারীর ৫৩নং কুলতলী রামচন্দ্রপুর মৌজার এস.এ ৬৬ নং খতিয়ানে, এস.এ ২৫নং দাগে এবং বি.এস ২১৯ নং খতিয়ানে ও হাল ৭৯নং দাগে ০.২২ একর জমি যাহা আমি রেজিষ্ট্রী কোবালাকৃত ক্রয় করি। এরপর থেকে দীর্ঘদিন উক্ত সম্পত্তিতে আমরা রবি শস্য ফসলাদি উৎপাদন করিয়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করিয়া আসিতেছি। কিন্তু কুলতলি গ্রামের এজাহার মোল্যার পুত্র নূরনগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে মেম্বর মেহের আলী মোল্য কৌশলে আমাদের উক্ত সম্পত্তি যবর দখলের চক্রান্ত করতে থাকে। এর জের ধরে গত ১৫/০২/২০২১ তারিখ সকাল আনু: ৭.৩০ ঘটিকার সময় মেহের আলী ও তার দলবল দা, লাঠি, লোহার রড, শাবল, কোদাল নিয়ে আমার রেজিষ্ট্রী কোবালাকৃত সম্পত্তিতে অন্যায় অনধিকার প্রবেশ করে এবং জোর পূর্বক নেটের ঘেলা উঠিয়ে দিয়ে তাদের ইচ্ছামত খোটা মারতে থাকে।
আমি মেহের আলীর কাজে বাধা দেওয়ায় মেহের আলীর হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আঘাতের ফলে আমি ফসলী জমিতে লুটাইয়া পড়ি এবং উক্ত মেহের আলী এসময় আমার কাছে বুক পকেটে থাকা ৭৫ হাজার উঠিয়ে নেয়। উক্ত ঘটনার মেহের আলী ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময়ে বলে আমার উক্ত জমি দখল করিয়া নিয়ে এবং তাতে বাধা সৃষ্টি করলে মারপিট ও খুন জখম করবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে এবং আমাদের সম্পত্তি দখল করে ভারতে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করে চলে যায়। এঘটনায় আমি শ্যামনগর থানায় আমার স্ত্রী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। যার নং- ৬৩/২০২১ (শ্যাম:), তাং- ০২/০৬/২১।
উক্ত মামলার খবরে মেম্বর মেহের আলী মোল্ল্যা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে শীবচন্দ্রপুর গ্রামের মো: বেলাল গাজীর স্ত্রী তাছলিমা খাতুনকে দিয়ে একটি মিথ্যা ধর্ষণের মামলা দায়ের করায়। সেখানে আমাকে ২নং আসামী করে। উক্ত মামলায় আমাকে সহ মোট ৭জনকে আসামী করা হয়েছে। কোন আসামীকেই আমি চিনি না। ওই মামলার বাদীর বাড়ি আমার বাড়ি হতে প্রায় ১৫ কিলোমিটার। তাকে কোনদিন দেখিনি তার সাথে কোন প্রকার কথাও হয়নি। শুধু মাত্র মেহের আলী মোল্ল্যার কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে তার কথায় আমাকে ওই মিথ্যা ধর্ষন মামলায় জড়িয়েছে। উল্লেখ্য মিরালী মোল্ল্যা আমাকে মামলায় জড়িয়ে আমার সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে সারা দেশের বিভিন্ন থানায় এধরনের একাধিক মিথ্যা মামলা দায়েরের হুমকিও প্রদর্শন করে যাচ্ছে। আমি একজন অসহায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বি: দ্র: প্রতিবেদনটি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ই-মেল থেকে প্রেরণকৃত।